ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি লঙ্ঘনের ঘটনায় সরকার ও রাষ্ট্র একাকার হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয় শীর্ষক এক মত বিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আইন ও শালিস কেন্দ্র আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ঠ সমাজসেবক সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শেফা হাফিজা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাড. নীনা গোস্বামী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধুরী, আনিছুর রহিম, রঘুনাথ খাঁ, এম কামরুজ্জামান,
মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, মাবাধিকার কর্মী ফরিদা আক্তার বিউটি, মৌ, আসকের তদন্ত সেলের কর্মকর্তা আবু আহম্মেদ ফয়জুল কবীর ফরিদ প্রমুখ।
বক্তারা সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সুষ্মিতা সরকার ধর্ষণ ও হত্যা মামলা, সাতক্ষীরা সদরের সাধুখাঁ পরিবারের জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে তাদেরকে ভারতে চলে যেতে বাধ্য করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, খড়িয়াডাঙায় বাসন্তীপুজা অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী
হামলার ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়া, শ্যামনগরে সরস্বতী পুজা অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, কালিগঞ্জের সন্ন্যাসীর চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী সহকারি শিক্ষক শহীদুল ইসলামের দারা শ¬ীলতাহানির শিকার হওয়ার ১৭ দিনেও প্রাথমিক শিক্সা
কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা না নেওয়া, কালিগঞ্জের জয়পত্রকাটি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে দু’ ভাই বোনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, লুটপাট ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের ঘটনায় প্রকৃত আসামীদের না ধরা, জেলায় কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে বিচার দ্রুত না হওয়াসহ অবনতি হওয়া বিভিন্ন
মানবাধিকার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মধাব চন্দ্র দত্ত। সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।