ক্রাইমর্বাতা রির্পোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘এত বড় একটা দল চাপের মুখে আপস করে সংসদে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কি নিজেদের অদূরদর্শী রাজনীতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা আর অসহায়ত্বকেই তুলে ধরেনি?’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়ীদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে এ প্রশ্ন তুলেছেন ভিপি নুর।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এই প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, ‘চাপ সহ্য করে যদি রাজনীতির মাঠে টিকতে না পারেন, নেতার মুক্তির জন্য আপস করে যদি সংসদে যেতে হয়! আপনারা কীভাবে দেশ ও জনগণের স্বার্থে আপসহীন লড়াই-সংগ্রাম করবেন? জনগণ কি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে?’
বিএনপির প্রতি এসব প্রশ্ন করে ভিপি নুর বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকা গতানুগতিক রাজনৈতিক দলসমূহ স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, সাম্য-মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে পারেনি।’
তিনি তার স্ট্যাটাসে আরও বলেন, ‘আগামী ৫০ বছরেও পারবে না যদি কোনো তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব না ঘটে। তবে আশার বাণী হচ্ছে এ দেশের ছাত্র-যুবকরা ঐক্যবদ্ধ হলে সব অসাধ্যই অর্জন করা সম্ভব। সুতরাং ছাত্র-যুবক, তরুণদেরই দেশ গঠনে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।’
ডাকসু ভিপি নূরুলহক নুরের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ৬ প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। এদের মধ্যে ৫ জন নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শপথ নিয়েছেন। গতকাল সোমবার চারজন ও এর আগে গত ২৫ এপ্রিল শপথ নিয়েছিলেন একজন।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ওই নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত দিন ২৯ এপ্রিলে মধ্যে তিনি শপথ নেননি। শপথ নেয়ার জন্য সময় বাড়াতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে কোনো আবেদনও করেননি বিএনপি মহাসচিব। ফলে সংবিধান অনুযায়ী শপথগ্রহণের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে জাতীয় সংসদ।