ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বাংলাদেশে অবস্থান করছে ঘূর্ণীঝড় ফণী। আজ সকালে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে এখন তা মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করছে। গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত ফণীর প্রভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
ভোলার সাত উপজেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। জেলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলার বোরহানউদ্দিনের চর জহিরউদ্দিন, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল, মনপুরার চর নিজাম, চরফ্যাশনের ঢাল চর, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলাসহ কয়েকটি চরে ঘর-বাড়ি ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
দেড় মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর। আজ ভোর ৪টার বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় শতাধিক বাড়ি।
এতে ঘরচাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে শিশু নিহত হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০-৩৫ জন।
গতকাল বিকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেছে ৬ জনের।
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে নিহত হয়েছেন একজন। নিহত কৃষকের নাম আবদুল বারেক (৩৫)।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে ঘর ধসে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন নূরজাহান বেগম (৬০) ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)। আজ ভোর চারটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদোয়ানি ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। হতাহতদের উদ্ধার তদারকি করতে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন এক যাত্রী নিহত ও আহত হন ১০ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আমির হামজা নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু।
লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলভীতে ঘরচাপা পড়ে নিহত হয়েছে আনোয়ারা খাতুন নামে এক নারী। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত: ২০ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। সকালের ওই ঝড়ে ৫ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।