ক্রাইমবার্তা রিপোট:সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ফণির তান্ডব শেষ হয়েছে। দুপুরের পর সূর্যের আলো দেখা মিলেছে। আকাশে সেঘের উপস্থিতি কমে এসেছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে সুপেয় পানি ও খাবার সংকট থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে সাধারণ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে ।
ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষেরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সকাল থেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করে লোকজন।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে দমকা হাওয়া ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে গতকাল আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয় উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা । আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে অনেকের।
সাতক্ষীরার ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয় ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ।
সাতক্ষীরায় আজ শনিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে মানূষ নিজ গৃহে ফিরছেন।আবহাওয়া এখন অনেকটা শান্ত রয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রাতে সুপেয় পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দেয়।পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় সেসবের দরকার হয়নি।
সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, জেলায় ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৮ টি মেডিকেল টিম। এছাড়া উপকুলীয় উপজেলা গুলোতে ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ২৭’শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকলসকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।