‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড’ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি শুরু

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ  :যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড’ এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

আজ রিভিউ শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে জানান, বর্তমানে সারা দেশের কারাগারে ৫ হাজার ৫৩৭ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। এ সংক্রান্ত রায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় তারা ও তাদের পরিবার বুঝতে পারছেন না কত দিন কারাগারে কাটাতে হবে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।

আজ অ্যামিকাস কিউরিদের (আদালত বন্ধু) অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরীকে পরিবর্তন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিনকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সেই সাথে অ্যামিকাস কিউরিদের (আদালত বন্ধু) বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৬ মে বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ওইদিন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড’ এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানিতে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ হবে কিনা সে বিষয়ে আইনি মতামত তুলে ধরতে চার সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেন আদালত। এই চার আইনজীবী হলেন- ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান ও মুনসুরুল হক চৌধুরী। পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনকেও এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হয়।

২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর একটি হত্যা মামলায় দুই আসামি আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল আবেদন জানান।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসাথে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ সাত দফা অভিমত দেন। এরপর আপিলের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

Please follow and like us:

Check Also

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি বা বিরোধীদলের কেউ জড়িত না, দাবি ফখরুলের

শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে যে নৈরাজ্য ও সহিংস তাণ্ডব চলেছে, সেটির সঙ্গে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।