বয়সে আমরা তার মা অথবা বোনের সমান। গরিব হলেও তো আমাদের সামাজিক মান মর্যাদা আছে। তাই বলেএকজন পুলিশ কর্মকর্তা কোন বিবেকে আমাদের অসভ্য অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে পারে। আমরা কালিগঞ্জ থানার পুলিশ অফিসার এস আই মনির তরফদারের বিচার চাই। এ ব্যাপারে আমরা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে কান্নাজড়িত কন্ঠে এই অভিযোগ তুলে ধরেন কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের রতনপুর মহিষকুড় গ্রামের আশরাফ আলির স্ত্রী লায়লি বেগম। এ সময় সাথে ছিলেন তার দুই জা শোকর আলির স্ত্রী রিজিয়া খাতুন ও এরশাদ আলির স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তারা বলেন ‘আমরা তো আপনাদের মেয়ের মতো। তা সত্ত্বেও এমন গাল দিতে পারলেন’।
তিনি বলেন আমার মৃত শ^শুর মুজিবুর রহমানের পৈতৃক ১৮ বিঘা জমির মধ্যে ৪ বিঘা জমি নিয়ে বিবাদ চলছে প্রতিবেশি আবু তাহের , তার পুত্র হাসান ও তার পুত্র হেলালের সাথে। মহিষকুড় মৌজার ১৭৫,১৭৬,১৭৭, ১৭৮ দাগের সে জমিতে আমরা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস করছি। প্রতপক্ষ আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে সাতক্ষীরার আদালতে মামলাও রয়েছে। তিনি জানান গত ১৩ মে তারিখে ছোট দেবর এরশাদ আলি ঘর সংস্কার করছিলেন। এ সময় আমাদের প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় এস আই মনির তরফদার এসে বলেন এখানে নতুন ঘর তুলছিস কেনো। জবাবে এরশাদ বলেন নতুন নয় এটা পুরাতন। তখন এসআই বলেন এই শুয়োরের বাচ্চা চড় মেরে তোর কান জালিয়ে দেবো। জা রাবেয়া এর প্রতিবাদ করলে এসআইয়ের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে নারীকে নিয়ে বিশ্রী ব্শ্রিী ভাষা। যা কানে তোলা যায় না। মুখে বলা যায় না। রোজার দিনে এমন নোংরা ভাষা কোনো মানুষ ব্যবহার করতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না। ছোট বড় ছেলেমেয়ে ও পাড়ার লোকজনের সামনে এমন ভাষার আক্রমনের মুখে লজ্জায় আমাদের মাথাকাটা যায়। আমি নিজে এর প্রতিবাদ করলে মনির তরফদার আমাদের লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হন। বিষয়টি আমরা কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বরকে ঘটনাটি জানাই। আমরা এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি । তিনি যেনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন আমাদের শ্রমজীবী স্বামীরা কাজে কর্মে বাইরে থাকেন। এই সুযোগে হাসানের ছেলে হেলাল ও তার সঙ্গীরা আমাদের ঘরের দরজায় টোকা দেয। বাজে কথা বলে। পুকুরে গোসল করতে গেলে তাহের লাইট মেরে আমাদের বিব্রত করে। হাসান ক্যামেরা দিয়ে আমাদের ছবি তুলবার চেষ্টা করে। এসব কাজে এসআই মদদ দিচ্ছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তাদেরও বিচার দাবি করা হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।প্রেস বিজ্ঞপ্তি :