সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় এক অসহায় বৃদ্ধ ভিক্ষুকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ তার বসত ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, তার ভিক্ষুক স্ত্রী ফিরোজা খাতুনের কামড়ে ও খামচানিতে প্রাণ হারিয়েছেন স্বামী মজিদ মোড়ল। তার দেহের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় হাতুড়ির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার হাজরাপাড়া গ্রামে। পুলিশ সন্দিগ্ধ ঘাতক স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ফিরোজা একজন মৃগী রোগী। একই সঙ্গে তিনি মানসিক রোগী।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, মজিদ মোড়ল (৭০) একজন ভিক্ষুক। তার দুই স্ত্রী মারা যাবার পর ফিরোজা খাতুন (৫০) নামের এক নারীকে এক বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তিনিও ভিক্ষা করেন। পার্শ্ববর্তী মাগুরা গ্রামের মজিদ মোড়ল স্ত্রীকে নিয়ে খলিসখালি ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামে শেফাতুল্লাহর বাড়িতে থাকতেন। শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের বাজারে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে মজিদ মোড়লের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়- স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাড়িতে লোকজনের মাঝে বসে আছেন। নিহত মজিদ মোড়লের সারা দেহে দাঁতের কামড় ও খামচানির চিহ্ন রয়েছে। দেহে কোনো ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও তার মুখ নাক ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
তিনি জানান, মৃগী ও মানসিক রোগী খেয়াল খুশী মতো তাকে কামড়ে খামচে ও পরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফিরোজা কখনও বলছে, আমি মেরেছি; আবার কখনও বলছে না আমি মারিনি।
খলিসখালি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল জানান, ভোরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী মজিদ ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন। ফিরোজা তাকে ধরে কামড়ে খামচে কাবু করে পরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
পরে ফিরোজা বাড়ি থেকে চলে যাবার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী তাকে আটকে রাখে। পুলিশ আসছে শুনে ফিরোজা বাড়িতেই স্থির হয়ে বসে থাকে। ময়নাতদন্তের জন্য মজিদের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফিরোজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
ক্রাইমবার্তা রিপোট : সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এবার স্বামী নজির উদ্দীনকে বাঁশের লাটি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী ফিরোজা খাতুন।শুক্রবার (১৮মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের হাজরা পাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।নিহত নজির উদ্দীন ওরফে মজিদ মোড়ল (৫৬) উপজেলার হাজরা পাড়া গ্রামের সুরমানতুল্লাহ’র পুত্র।এ ঘটনায় স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মজিদ মোড়লের স্ত্রী ফিরোজা বেগম শুক্রবার (১৮মে) দিবাগত রাত ১টার সময় নিজ বাড়ীতে তার স্বামীকে ঘুমান্ত অবস্থায় বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।শনিবার সকালে খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্ত্রীকে আটক করেছে।পাটকেলঘাটা থানার ওসি রেজাউল ইসলাম রেজা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তার স্বামীকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।
——0—–