খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাংশ মিলে নৌকাকে পরাজিত করতে কাজ করেছে। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মার খেয়েছে, বাড়িছাড়া হচ্ছে। মহানগরীর খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু বলেন, দলের ক্ষতিকর কাজ কেউ করলে তার কি শাস্তি হবে তা আগে নির্ধারণ করা জরুরি। এজন্য সংগঠনের সংবিধানে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অতি উৎসাহী অনেকে নিজেদের সম্পদ অর্জন ও রক্ষা করতে বেশি ব্যস্ত থাকেন। তাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সদর থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, বিগত ১১ বছরেও সদর থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। একাধিকবার থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট জমা দিয়েছি কিন্তু তারা অনুমোদন দেননি। খানজাহান আলী থানার সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জামায়াত- বিএনপির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছেন। এখানে কোনো ওয়ার্ড কমিটি নেই, যুবলীগের কমিটি নেই, ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তাহলে দল কীভাবে শক্তিশালী হবে। জানা যায়, নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কয়েকটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ৮টি উপজেলা কমিটি গঠন করা হলেও তাতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির অনুমোদন নেই। নেতারা বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, এখন সেখানে কমিটি করতে গেলে দূরত্ব বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আগে তারা শক্তিশালী জেলা কমিটি গঠন ও পরে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। তবে বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন বলেন, সম্মেলন ছাড়া জেলা বা উপজেলা কমিটি কোনো ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন কমিটি ভাঙতে পারবে না। তিনি বলেন, নতুন কমিটি হলে তৃণমূলের ক্ষোভ থাকবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূলে শক্তিশালী কমিটি করতে হবে। যেন ওপর থেকে একটা আবরণ আর ভিতরটা ফাঁপা না থাকে।
Check Also
গাড়িচাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মাসুদের মৃত্যু ‘হত্যাকাণ্ড’
প্রাইভেটকার চাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বর্ণনা করে দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৬ দফা …