ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস সভনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান ছিল- ৪২-এ ৪২। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের সব আসনেই তৃণমূলকে জয়ী দেখতে চান তিনি।
ফলে হতাশ মমতা। পুরো ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি বহুগুণ বেশি লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে, বহু আসন হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গের ৪২ লোকসভা আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২২টি। আর ১৮ আসন দখল করেছে বিজেপি। বাকি দুটি আসন গেছে কংগ্রেসের পাল্লায়। শূন্যের কোঠায় সিপিএম।
অথচ ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ৩৪, আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন।
এমন পরাজয়ের মধ্যে মমতার ওপর যে অভিযোগ করছে বিজেপি, পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের মন খুশি করে চলেন মমতা।
আগামী ৩০ মে মমতার এক ইফতার পার্টিতে হাজির হওয়া বিষয়ে এমন অভিযোগ আসে বিজেপি থেকে।
বিজেপির এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা বলেন, এমন কথা বলা মানেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা। আর আমি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে কখনই বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হ্যাঁ ৩০ মে ইফতার মাহফিলে আমি হাজির থাকব। তাতে বিজেপির কি সমস্যা! যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া উচিত।
এর পর তিনি যোগ করেন, ৩১ মে আবার বৈঠক রয়েছে কালীঘাটে। এটি কাউকে তুষ্টি করার বিষয় নয়। যে ডাকবে যাব।
বিজেপির বিপক্ষে মমতার পাল্টা অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে লোকসভা ভোটে বিজেপি এবার জয় পেয়েছে। এই নির্বাচনে বিজেপি যে পরিমাণ টাকা ছড়িয়েছে তা যে কোনো কেলেঙ্কারিকে হার মানাবে।
মমতা বলেন, আমি হিন্দু-মুসলিম, শিখ-খ্রিস্টান ভাগাভাগি মানি না। দেশটা সবার। উগ্র হিন্দুত্ববাদ, উগ্র মৌলবাদের তৃণমূলে ঠাঁই নেই। আমি উগ্রতার বিরুদ্ধে।
বিজেপির এসব সাম্প্রদায়িক অভিযোগের পরোয়া না করে ইফতারের নিমন্ত্রণে যাবেন জানান মমতা।