বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় লিচু বাগানে কুলা বাধা লুজ তার দিয়ে পাতানো ফাঁদে প্রাণ গেলো সাইদুল ইসলাম নামের এক যুবকের। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে এক লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে বাঘা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, বাঘা উপজেলা আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের জামরুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২) রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। সে বাড়িতে না আসায় তার স্ত্রী সিমা খাতুন বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও পায়নি। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে আবদুল সালামের ছেলে তহির উদ্দিনের লিচু বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।
তহির উদ্দিনের কাছে থেকে তার ভাতিজা আবু সুফিয়ান রনি ৬ হাজার টাকার চুক্তিতে লিচু বাগান লিজ নেই। এ লিচু বাগানের পাশ দিয়ে আবু সুফিয়ান রনি তার চাচা আকবর হোসেনের বাড়ি থেকে কুলা বাধা লুজ দিয়ে লিচু রক্ষার্থে ফাঁদ পেতে রাখে। এ ফাঁদে পড়ে সাইদুল ইসলাম নামের এক যুবক মারা যান।
এ বিষয়ে মৃত সাইদুল ইসলামের মামা রেজাউল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম দাবি করে বলেন, লিচুর বাগানের মালিক তহির উদ্দিন, আকরাম হোসেন, আবু সুফিয়ান রনি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ভাগ্নেকে বাগানের মধ্যে ফেলে চলে যায়। এ হত্যার সুষ্ট বিচার দাবি করেন তারা।
সাইদুল ইসলামের মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে তার মা সাহারা বেগম ও স্ত্রী সিমা খাতুনের বাকবন্ধ হয়ে গেছে। কোন কথা বলতে পারছেনা। শুধু অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে কি যেন বলছে। সাইদুল ইসলাম ৬ মাস আগে বিয়ে করেছে। তার স্ত্রীর এখন কি হবে এমন চিন্তা পরিবারের।
বাঘা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মুঞ্জুরুল ইসলাম মৃত সাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে সুরতাল রিপোটে উল্লেখ করা হয়েছে, তার ডান পায়ের হাটুর নিচে ও বাম হাতের নিচে বিদ্যুতের তারে পোড়া দাগ রয়েছে। মৃত দেহের পাশে থেকে কিছু লিচু, একটি মোবাইল ফোন, একটি গ্যাস লাইট ও কিছু বিড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের বাড়িতে হানা দেয়া হয়েছে। তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সাইদুল ইসলামের মামা আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।