ক্রাইমবার্তা রিপোটঃশ্যামনগরঃ সম্মেলন ছাড়াই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন এক কমিটি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। আর এ ঘটনায় পুরস্কার হিসাবে নেতারা লাভ করেছে সাত লাখ টাকা।
কমিটি ঘোষণার পরপরই প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছেন।
শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম সবুজ জানান, একরামুল হক লায়েস ও তার নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের কমিটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে। মেয়াদোত্তীর্ন হলেও কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়েই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা ও সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান তাদের কমিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, গত ৭ জুন এই বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সাগর মণ্ডলকে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান রনিকে সম্পাদক দেখিয়ে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেন তারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অন্ধকারে রেখে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে শ্যামনগরে গত দুই দিন ধরে চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি।
আবদুল হাকিম সবুজ অভিযোগ করেন, কথিত সভাপতি সাগর মণ্ডল একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছিল। অপরদিকে ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি কখনও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না।
এই দুইজনের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গঠনতান্ত্রিক কোনো নিয়ম না মেনেই কমিটি গঠনের বিরোধিতা করছি আমরা। অবৈধ কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে যাবো।
প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি গঠন বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য গঠিত কমিটির সভাপতি সাগর মণ্ডল বলেন, জেলা ছাত্রলীগকে টাকা দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি বলেন, সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ দুই বছরে ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। এছাড়া আগের কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং সেক্রেটারি সুজনের কোনো ছাত্রত্ব নেই। এসব কারণে তারা মিলিত হয়ে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে মিছিল সমাবেশ করছেন।