- মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা
মুন্সীগঞ্জে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে সেই মালিকের কাছেই আবার বিক্রি করে পুলিশের। ঘটনার সময় কার্তিক নামক এক সুইপার ছিল তাদের সাথে। এ.এস.আই খলিলুর রহমান, কনস্টেবল কুদ্দুস ও সুইপার কার্তিক এই অভিযানের অংশ নেয়। ৫১ বস্তা অবৈধ কারেন্টজাল উদ্ধার করে ৪২ বস্তা কারেন্ট জাল ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকাল ৫টায়।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, কারেন্টজালের মালিক আনোয়ার হোসেন পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করে তার থেকে ৫১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করে ৪২ বস্তা কারেন্টজাল ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তার কারেন্টজাল তার কাছেই বিক্রি। বাকী জাল থানার নতুন বাথরুমের পার্শ্বেই জঙ্গলের ঝোপের ভিতর ফেনসিডিল ও কারেন্টজাল লুকিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে লৌহজং থানার ওসি মনির হোসেনকে দ্রুত এসপি সাহেব তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে শ্রীনগর সার্কেলের কাছে যাওয়ার জন্য জন্য রওয়ানা দেন ওসি মনির হোসেন।
এ.এস.আই খলিলুর রহমান জানান, ৯ বস্তা কারেন্টজাল উদ্ধার করেছি। মালিকের নাম ঠিকানা কিছুই পাননি তিনি। পরবর্তীতে মালিকপক্ষ এসপি সাহেবের কাছে কিভাবে অভিযোগ দিল। ৫১ বস্তা কারেন্ট জালের মধ্যে থেকে ৪২ বস্তা কারেন্ট জাল তার কাছে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি সে। তিনি চুপ হয়ে যান।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, আনোয়ার আমার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে তবে ২২ বস্তা হইতে পারে ৫১ বস্তা না। তবে আনোয়ারের অভিযোগের কথা বলার পরে তিনি জানান বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।