ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের নিকট হতে হাত, পা ও মুখ বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার এর রহশস্য উন্মোচন হতে শুরু করেছে। পুলিশ তাকে মারতে মারতে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছ। প্রত্যক্ষ র্দশীরা জানান, রোববার বিকালে পুলিশের হাতে মুকুল মোল্লা তুলে দেয় গ্রাম বাসি। পরে যা হবার তা পুলেশে করেছে। শুধু চুরির অভিযোগেই তাকে পুলিশ প্রহরায় হত্যার অভিযোগ করেছে মুকুল মোল্লার বাবা কেনা মোল্লা। তবে পুলিশ বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র জানাই শহরের অদুরে বাইপাস সড়কের ধারে কুচপুকুর গ্রামে মুকুল মোল্লা নামের এক ব্যক্তির হাত পা ও নাক মুখ বাঁধা লাশ সোমবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে নিহত ব্যক্তি একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে ১৭ টি চুরির মামলা রয়েছে।
তবে মুকুলের বাবা কেনা মোল্লা বলছেন মুকুলকে গ্রামবাসী আটক করে রোববার বিকালে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সোমবার ভোরে তার লাশ উদ্ধার করা হয় কুচপুকুর থেকে। তবে তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে চুরি করতে যেয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে সে মারা গেছে বলে তাদের ধারণা। মুকুল মোল্লা (৩৮) শহরতলির বাঁকাল ইসলামপুর চরের বাসিন্দা।
তার দিনমজুর বাবা কেনা মোল্লা আরও জানান তার ছেলেকে পুলিশের এসআই ইসরাফিলের কথা মতো গ্রামের লোকজন ধরে আনে। পরে তারা তাকে মারধর দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়। সোমবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে শহরের ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইসরাফিল জানান তিনি তাকে ধরে আনেন নি। এমনকি গ্রামবাসীও তাকে ধরে দেয়নি। শহরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, পেশকারসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে সম্প্রতি চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসব চোরদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। মুকুল কারও বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তাদের হাতে পিটুনি খেয়ে প্রাণ হারাতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।