নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা জেলা আইন সহায়তা প্রদান সংস্থার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পাভেল রায়হান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম ) আবু সাইদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) মেরিনা আক্তার।
লিগ্যাল এইড অফিসার ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজমুল নাহার, জেলা কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রবেশন অফিসার মিজানুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, পাবলিক প্রসিকিউটর দাশ তপন কুমার, জিপি সরকার জামিনি কান্ত। সভায় এপ্রিল মাসের মাসিক সভার পর হতে ৩১ মে পর্যন্ত সরাসরি আদালতের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়েছে ৩৭ টি এবং জেলখানা হতে আবেদন জমা পড়েছে ১১ টি। মার্চ মাসের প্যানেল আইনজীবী কর্তৃক বিল জমা পড়েছে ৯০,৬৮৫ টাকা এবং এপ্রিল মাসে প্যানেল আইনজীবীদের বিল জমা পড়েছে ২৬,৭০০ টাকা। কিন্তু ফান্ডে সমস্ত টাকা সংকুলান না হওয়ায় বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।
সভায় অংশগ্রহণ করেন উন্নয়ন সংগঠন বরসা, সহায়, ব্র্যাক, ওয়েব ফাউন্ডেশন, স্বদেশ, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব, চুপড়িয়া মহিলা সংস্থা, অগ্রগতি সংস্থা, সার্বজনীন মানবাধিকার, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন ও সিভিল সার্জন প্রতিনিধি। সভায় জেলা ও দায়রা জজ বলেন আমাদের দেশে এখনও ধনী ও গরিবের বৈষম্য রয়ে গেছে। তাছাড়া দেশের যেখানেই নারী সেখানেই নির্যাতনের ঘটনা অহরহ দেখা যায়। এজন্য অসহায়কে সহায়তা করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় নিয়ে সরকার লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠা করেছেন। লিগ্যাল এইড সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। যার ফলে দেশের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী আইনের শাসন ও
আইনগত সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ – সুবিধা ভোগ করবে। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আরও কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন। এটা আমাদের একটা আন্দোলন। সরকারি বেসরকারি সকলে নিজনিজ যায়গা থেকে লিগ্যাল এইডে কাজ করতে হবে। মিডিয়ার এবিষয়ে যথেষ্ট ভুমিকা রেখে সহায়তা করতে পারে। আমরা গরিব মানুষের স্বপ্নের ভাগিদার হতে চাই। সভায় স্কুল কলেজ সহ ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিকে সক্রিয় করাসহ তৃনমূলে বেশি বেশি সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সেমিনারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।