ইকোসকে বিপুল ভোটে জয়ী বাংলাদেশ

ক্রাইমর্বাতা রিপোট:  জাতিসংঘে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক)’ সদস্য পদে ২০২০-২০২২  মেয়াদের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ১৯১ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৮১ ভোট।

৫৪ সদস্য বিশিষ্ট মর্যাদাপূর্ণ এই পরিষদে বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ২০২০-২০২২ মেয়াদে বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্লাটফর্মে এবং বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম ইকোসকে তার দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে এবং বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিপুল ভোটে এই বিজয় তারই বৈশ্বিক স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নেন্দা এপ্সিনোসা গার্সেজ এর সভাপতিত্বে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গোপন ভোটে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে এই বিজয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক অনন্য উপহার।

গতবছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ অভিমূখে অগ্রযাত্রার প্রাথমিক ধাপ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ আরও বলেন,  টেকসই উত্তরণ নিশ্চিতে ইকোসকের এই সদস্যপদ লাভ আমাদেরকে আরও সামনে এগিয়ে নেবে। এছাড়া এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নেও এই বিজয় নতুন গতি আনবে।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নেরই প্রতিফলন। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও দিক-নির্দেশনায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও এর পাশপাশি সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অন্যান্য দূতাবাস ও মিশনসমূহ এই নির্বাচন উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছে। তাই এই বিজয় আমাদের টিমওয়ার্কেরই স্বীকৃতি।

ইকোসকের সদস্যপদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইকোসকের আওতাধীন বিভিন্ন ফোরাম, কমিশন, কমিটি, নির্বাহী বোর্ড ও আঞ্চলিক ফোরাম যেমন ইউএনএসকাপ এর সঙ্গে এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং বাংলাদেশের সর্বোত্তম উন্নয়ন অনুশীলনসমূহ বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

উল্লেখ্য এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০১৯-২০২১ মেয়াদে দায়িত্বপালন করছে।

Check Also

গাজায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ভূখণ্ডে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।