ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এমন তথ্য-সংবলিত উড়ো চিঠি তার বাসায় এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ বর্তমানে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইমাম হোসেন সোহেল জানান, গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে ডাক বিভাগ থেকে চিঠিটি আসে শ্রীমঙ্গল শহরের আর কে মিশন রোডের বাসার ঠিকানায়। সংসদ সদস্য দিনের কর্মসূচি শেষ করে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিঠিটি খুলেন দেখেন।
হিজমা থেরাপি অ্যান্ড রুকিয়া সেন্টার, কুশূমবাগ, মৌলভীবাজার, এসএ পরিবহনের পূর্ব পাশের দোতলা-এই ঠিকানা থেকে উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ষড়যন্ত্রকারী আইএস মৌলভীবাজার জেলার পরিচালক কমলগঞ্জের দরগাহপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম লুলু। তার চাচা প্রয়াত রাজাকার আব্দুল হক।
হত্যা ষড়যন্ত্রের টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে জামিমা স্টোর রাজদীঘির পাড় কমলগঞ্জ মৌলভীবাজারের স্বত্বাধিকারী ফজলুর রহমানের বিকাশসহ বিভিন্ন হুণ্ডির মাধ্যমে। যা আসছে লন্ডন ও আমেরিকা থেকে।
সরকারি ডাক বিভাগের চিঠির খামে প্রেরক সুজন কদমতলী, সিলেট লেখা রয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার পথে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে হত্যার ষড়যন্ত্রের তথ্য-সংবলিত চিঠি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ বলেন, যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে চায়, যারা জনস্বার্থে করা কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না, যারা পাকিস্তানের দালালি করে এবং প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ সরকার এবং নেতৃত্বে আঘাত হানতে চায়- এটা তাদের কাজ। আমি এটাকে সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এদিকে চিঠি পাওয়ার পর পরই জেলা ও থানা প্রশাসন থেকে এমপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। শনিবার মির্জাপুর চা বাগান এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে।
ডাকযোগে প্রেরণ করা চিঠিটি পুলিশ গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছে বলে সাংবাদিকদের জানান শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুস ছালেক। এদিকে একই চিঠির আরও একটি কপি কমলগঞ্জ থানার ওসি বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান একই চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।