ক্রাইমর্বাতা রিপোট: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কেনাকাটায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রকৌশলী ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সংসদে এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই ঘটনায় যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তার কিছু পরিচয় আমরা পেয়েছি। এক সময় তিনি বুয়েটে ছাত্রদলের নির্বাচিত ভিপিও নাকি ছিলেন।
সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বালিশ দুর্নীতির প্রসঙ্গটি তোলেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে সেখান থেকে সরানোও হয়েছে। যখনই তথ্য পেয়েছি, সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যে দলেরই হোক, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, বালিশতত্ত্ব নিয়ে আমারও একটা প্রশ্ন আছে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সেখানে গড়ে উঠছে। সেখানে আর কিছু না পেয়ে পেল বালিশ।
এটা কোন বালিশ? কী বালিশ? সেটাও একটা প্রশ্ন। এটা কি তুলার বালিশ? কোন তুলা? কার্পাস তুলা না শিমুল তুলা; নাকি সিনথেটিক তুলা? নাকি জুটের তুলা? আর বালিশ নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখলাম। এত মানুষ, এত বালিশ একদিনে কিনে ফেলল কীভাবে? এই বালিশ কেনার টাকার জোগানদারটা কে? সেটা আর বলতে চাই না। গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলে বক্তব্য দেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি যে দল থেকে এসেছেন, তার দলে কি ডিসিপ্লিনটা আছে? যার নিজের দলে সুশাসন নেই, গণতন্ত্র নেই। শৃঙ্খলা নেই। যেখানে কেউ কথা বলতে গেলেই বলা হয় খামোশ। তার থেকে কী আসা করা যায়?