ক্রাইমর্বাতা রিপোট: বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েছেন বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। স্থায়ী কমিটির শূন্য দুই পদে এ দুই নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি জানান, দলের গঠনতন্ত্রের প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান টুকুকে নিয়োগ দিয়েছেন। বিএনপির সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার বাদানুবাদ নিয়ে দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে এ নিয়োগ দেয়া হলো।
টুকু ও সেলিমা রহমান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। স্থায়ী কমিটির শূন্যপদগুলো পূরণে তাদের নামগুলো আলোচনায় ছিল। টুকুর বাড়ি সিরাজগঞ্জে ও সেলিমা রহমানের বাড়ি বরিশালে। ঘুরে
প্রসঙ্গত বিএনপির স্থায়ী কমিটি বরাবরই একটি আকর্ষণীয় ও মর্যাদাসম্পন্ন পদ। আজীবন বিএনপির রাজনীতি করা পোড় খাওয়া নেতাদের টার্গেট থাকে শেষ জীবনে হলেও স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে এ ফোরামে সাংগঠনিকভাবে যোগ্য, পরীক্ষিত, ত্যাগী ও দলে তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরই স্থান হয়। তাই প্রায় সব জ্যেষ্ঠ নেতার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ পাওয়া।
এ কমিটি নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত, কর্মসূচি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজগুলো করে থাকে। স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকেই বেশিরভাগ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করেছিল বিএনপি। দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় নির্বাহী কমিটি তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হবে এবং পরবর্তী জাতীয় নির্বাহী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত এ কমিটিই দায়িত্ব পালন করবে।
কমিটি ঘোষণার সময়ই ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির দুটি পদ ফাঁকা ছিল। বাকি ১৭ সদস্যের মধ্যে তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ ও এমকে আনোয়ার মারা গেছেন। ফলে পাঁচটি পদ দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল। এর মধ্যে দুটি পদ পূরণ হলো। এখনও তিনটি পদ ফাঁকা রয়েছে।