মামলার বিবরণে জানা জানা যায়, বিল্লাল হোসেনের প্রথম স্ত্রী উপজেলার রামভাদ্রপুর গ্রামের নানার বাড়িতে থাকেন। তাদের আড়াই বছরের একটি মেয়ে আছে। বিষয়টি না জানিয়ে বিল্লাল আরেকটি বিয়ে করেন। কিছুদিনপর দ্বিতীয় স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামীর আরেকটি স্ত্রী আছে। এরপর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিল্লালের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এরপর বিল্লাল হোসেন তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করার ঘটনা জানিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে চুপ থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অন্তঃসত্ত্বা দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে নেয়ার জন্য চাপ দিলে বিল্লাল হোসেন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনির-উল-গীয়াস বলেন, প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে বিল্লাল হোসেন দেড় বছর আগে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই মেয়ের সঙ্গে। এক বছর আগে গোপনে তাকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যান। এরপর তাকে পোশাক কারখানায় চাকরিতে দিয়ে নিজে একটি সেলুনের দোকানে কাজ নেন। স্ত্রী বেতনের টাকা দিয়ে স্বামী বিল্লাল হোসেনকে নতুন মোবাইল কিনে দেন। সেই মোবাইল দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মেলামেশার ভিডিও গোপনে ধারণ করেন বিল্লাল হোসেন। পরে সম্পর্কের অবনতি হলে সেগুলো বিভিন্ন মোবাইল ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।
ওসি আরও বলেন, এসব ঘটনায় বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দিলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।