ক্রাইমর্বাতা রিপোট: পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজান আইনের ফাঁক গলে পালাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন।
আইনের ফাঁক গলে যাতে তিনি (ডিআইজি মিজান) বের হয়ে যেতে না পারেন সেজন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ শিরোনামে ৭ জানুয়ারি যুগান্তরে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
‘এক সংবাদ পাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে পর দিন ৮ জানুয়ারি আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।
এর পর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।
এদিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুদক।
এছাড়া ‘ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না’ মর্মে গত ১৬ জুন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন আদালত।