ক্রাইমর্বাতা রিপোট: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর শ্বশুর মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাজায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
এতে জানাজায় অংশ নেয়া এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতারা।
আজ শনিবার বাদ জোহর নগরী চট্টগ্রাম কলেজ মাঠে (প্যারেড মাঠ) এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, মোমিনুল হকের জানজায় শরীক হতে সাধারণ লোকজন ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা বেলা দেড়টার দিকে প্যারেড মাঠে জড়ো হয়। জানাজা শুরু আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল নিয়ে জানাজার দিকে এগুতে থাকলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় জানাজায় অংশগ্রহনকারী মুসল্লিদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় জানাজায় অংশগ্রহণকারীরাও পাল্টা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে প্রতিহত করে। এতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোহাম্মদ জোবায়েরসহ পাঁচজন আহত হয়।
জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে ছাত্রলীগ জানাজায় হামলার উৎসাহ পায়।
চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, মওলানা মোমিনুল হকের জানাজা শুরুর আগে চট্টগ্রাম কলেজের কিছু ছাত্র মিছিল নিয়ে গেলে উত্তেজনা তৈরী হয়। আমাদের পুলিশ জানাজার মুসল্লি ও মিছিলকারী ছাত্রদের মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে কোনো ধরণের সংঘাত করতে দেইনি। পরে মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির নগর (দক্ষিণ) সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ জানান, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ জানাজায় হামলা করে, জানাজার মাঠে মুসল্লিদের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়। এ সময় ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ তাদের জনশক্তিদেরকে ছাত্রলীগের সাথে হেচিংয়ে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে জানাযা শেষ করে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
আজ শনিবার ভোরে মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। সকালসাড়ে ৮টায় ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে প্রথম জানাজা, দ্বিতীয় জানাজা আইআইইউসি ক্যাম্পাসে এবং তৃতীয় জানাজা চট্টগ্রাম প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সাতকানিয়া তুলাতলী হাইস্কুল মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে থাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।