আবু সাইদ বিশ্বাস:ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: আমার সব শেষ। আমি এখন কি করে খাব। কি করে সংসার চালাবো। আর কি দিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো। বলছিলেন সাতক্ষীরা শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের মিয়াসাহেবের ডাঙ্গা এলাকার প্রতিবন্ধি ভ্যান চালক মামুন। মামুন এ প্রতিবেদককে জানায়, তার এক হাত মোটেই নেই। লোকের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগীতা ও এনজিও থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে একটি মটর ভ্যান কেনে। প্রতিবন্ধি বিধায় পুলিও তাকে কিছুই বলেনা। ভ্যান চালিয়ে তার চার সদস্যদের সংসার কোন রকমে চলে। বড় মেয়ে একটি মাদ্রাসাতে হেফজো পড়ে। ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেনীতে পড়ে। সে জানায় তার আয়ের এক মাত্র সম্বল পায়ে চালিত ভ্যানটি গতরাতে চুরি হয়ে গেছে।
তার স্ত্রী শরিফা জানায়,প্রতি দিনের ন্যায় ভ্যানটি তালা দিয়ে বাড়ির সামনে রেখে দিত। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভ্যানটি এভাবে পড়ে থাকে। কিন্তু আজ ভোর রাতে ভ্যানটি চুরি হয়ে গেছে। সে কাঁদছে আর বলছে এখন আমাদের কি হবে। সব শেষ। আমরা খাব কি আর মেয়ের হেফজো করাবো কি করে।
প্রতিবন্ধি মামুনের পিতা নাসির মোড়ল জানান, আমরা খুব গরীব মানুষ। ঝড়,তুফান আর বাঘের ভয়ে শ্যামনগর থেকে গত কয়েক বর সাতক্ষীরাতে চলে আসছি। আমাদের কিছুই নেই। এখন কি হবে।
এছাড়া শহরবাসি চুরিরর আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিদিন শহরের কোন না কো স্থানে চুরি হচ্ছে। গত এক মাসে দুই ডজনেরও বেশি চুরির ঘটনা শহরবাসিকে অজানা আতঙ্কে ফেলেছে। এর মধ্যে কলেজ রোড এলাকার অজয় শীলের বাড়ি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের বাড়ি, মাগুরা কামারপাড়ার অজয় কুমার সাহার বাড়ি, মধ্য কাটিয়া এলাকার শংকর শেখর এর বাড়ি ও সরকারপাড়া এলাকার মফজুলার রহমানের বাড়িতে চুরির ঘটনা মানুষের মনে দাগ কেটে দিয়েছে। চুরি হওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হলেও অনেকে থানায় অভিযোগ করেনি।
পুলিশ বলছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।