ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:: সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং প্রতিবছর স্যানিটেশনের (ল্যাট্রিন) জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় পানি কমিটির আয়োজনে ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উত্তরনের সহযোগিতায়
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব কনফারেন্স রুমে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকুলীয় অঞ্চল তথা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা দূর্যোগপ্রবন অতিঝুকিপূর্ণ জেলা। এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা সুপেয় পানির সংকট। এ অঞ্চলের ৬০ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ অধিবাসী এ সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত। ক্রমেই এ সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
যার কারনে জীবন-জীবিকা ও বসবাসে মারাত্বক ধরনের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সুপেয় পানি সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দূর্যোগকালীন সময়ে ও পরবর্তী সময়ে এ এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জলাধার বা পানির স্তরের অভাব রয়েছে। এ এলাকাটি ব-দ্বীপের নিম্নাংশ হওয়ায় সুক্ষ্য দানার পলিদ্বারা এর ভুমি গঠিত হয়েছে।
এখানকার অধিকাংশ স্থানে ভুগর্ভের প্রায় ১২’শ ফুটের মধ্যে পানির স্তর বা জলাধার পাওয়া যায়না। এক গবেষনা রিপোর্টে জানা গেছে এ অঞ্চলের ৭৯% নলকুপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
এছাড়া পদ্মা প্রবাহ থেকে লোনা পানি নিয়ে চিংড়ি চাষ করায় লবনাক্ততা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঞ্চলের মহিলাদের ২ থেকে ৫ কি.মি. পথ হেটে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
তিনি এ সময় এ অঞ্চলের এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ভুগর্ভস্থ জলাধারের অবস্থা কোথায় কেমন সে বিষয়ে হাইড্রোলজিক্যাল অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন, পকুর ও দিঘী খনন করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ সরকারের কাছে ৪ দফা দাবী তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উত্তরনের পরিচালক শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মইনুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী প্রমুখ।