ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে শারীরিক নির্যাতনে গর্ভপাতের কারণে অপুষ্ট ভাবে জন্মগ্রহণ করা নবজাতক শিশুটি নয় ঘণ্টা পর মারা গেছে। সোমবার (২৪ জুন)দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার রাধারহাট গ্রামের ফাতেমা খাতুন জানান, তাদের গ্রামের খোকন মল্লিকের চিংড়ি ঘেরের একটি কাঁকড়া ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকেসহ তার পরিবারের ছয়জনকে শাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। নির্যাতনের সময় তিনি ছয় মাসের অন্তঃস্বত্বা ছিলেন।তার অবস্থার অবনতি দেখে একই দিন রাতে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অন্তঃস্বত্বা অবস্থায় তলপেটে আঘাত জনিত কারণে সোমবার (২৪ জুন)বিকাল চারটার দিকে তার অপুষ্ট পুত্র সন্তান ভুমিষ্ট হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত সেবিকা ও ডাক্তারদের সহযোগিতা ছাড়াই তার অপুষ্ট সন্তান প্রসব হয়। নবজাতককে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ চিকিৎসা না দিতে পারায় সোমবার দিবাগত রাতে মারা যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাফিজুল্লাহ জানান, মায়ের গর্ভে থাকা ছয় মাসের শিশুটি তার সর্ব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গড়ে ওঠেনি। তার উপর গর্ভে থাকাকালিন মায়ের উপর নির্যাতনে তার অবস্থা ভাল ছিল না।