সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল না দিয়ে পুকুরের সম্পত্তি দখল দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীর স্ত্রী জামিলা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামী একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে চাকুরির করে অবসর গ্রহণ করে বাড়িতে থাকেন। সম্প্রতি একই এলাকার নিরাঞ্জন ঋষি তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয়ের প্রস্তাব দিলে আমার স্বামী বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী একমাস পূর্বে ধলবাড়িয়া রামচন্দ্র পুর মৌজায়, জে এল নং- ৯২, এস এ ২৫ নং খতিয়ানের ৫২২ দাগে বাড়ী ৩২ শতক সম্পত্তির মধ্যে ১২ শতক জমি আমার নামে ক্রয় করেন। ক্রয়ের সময় নিরাঞ্জন ও তার ভাই দেবদাস ২০১৩ সালের মৌখিক আপোষ অনুযায়ি যেভাবে পুকুর ও ভিটা দখল করতেন আমাদেরও সেই ভাবেই নিরাঞ্জন দখল বুঝিয়ে দেন।
আমরা সম্পত্তি দখল নেওয়ার কয়েকদিন পর স্থানীয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে দেবদাস সেটা না মেনে শুধু ভিটা দখলে রাখতে চান। অথচ আমরা ভিটা বাড়িসহ পুকুরের অর্ধেক সম্পূর্ণ বৈধভাবে ক্রয় করেছি। দেবদাস ওই মহলের ইন্ধনে আমাদের জোরপূর্বক সম্পূর্ণ পুকুরটা দখল দিতে চায় এবং ভিটাবাড়ি সে নিজে দখলে রাখতে চায়। কারণ আমরা সম্পত্তি ক্রয়ের সময় দলিলে স্পস্ট উল্লেখ আছে ভিটাবাড়িসহ পুকুরের অর্ধেক। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বর ও থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এরপরও গত ২৯জুন শনিবার দেবদাস ও তার দুইপুত্র বাপ্পি ঋষি এবং বিশ^নাথ ঋষি জোরপূর্বক সীমানা পিলার ভাংচুর করে এবং সম্পত্তিতে থাকা ঘরবাড়ি দখলের পায়তারা চালায়।
তিনি আরো বলেন, ওই কুচক্রী মহলের মদদে দেবদাস ঋষি সম্প্রদায়ের দোহাই দিয়ে সমাজে আমার স্বামীর মানহানি করতে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। এমনকি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তারা। আমার পুত্র বা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে কোন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করা হয়নি। কিন্তু দেবদাস সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের মন আকৃষ্ট করে ফয়দা লুটার চেষ্টা করছেন। আমি আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি সঠিকভাবে বুঝে পাওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
৩০.৬.১৯