ক্রাইমর্বাতা রিপোট : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্বৃত্তদের পকেট ভারী করতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নিজেরাই একটা লুটেরা সরকার, এই সরকার নিজেরাই একটা লুণ্ঠনকারী সরকার। তারা জনগণকে লুণ্ঠন করছে।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (অ্যাব) উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৭৫ টাকা প্রতি চুলায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু তাদের যে ব্যবসায়ী, যারা এলএনজি গ্যাস আমদানি করছে, তাদের সুবিধা দেয়ার জন্য, তাদের পকেট ভারী করার জন্য এবং দুর্বৃত্তদের পকেট ভারী করার জন্য তারা (সরকার) এটি করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাজেটের মাধ্যমে একদিকে জনগণের সম্পদকে লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে তারা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক জীবনে, অর্থনৈতিক জীবনে এবং সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, সরকারের বিরোধিতা করায় তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ২৬ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আছে, এক লাখ মানুষের ওপরে মামলা আছে, দেড় হাজারের ওপরে মানুষকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এ দেশের মানুষ অসহায়। কোনো রকম আশ্রয় ছাড়া, কোনো রকম আইনের শাসন ছাড়া তারা করুণ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তারা পরিকল্পতভাবে এই সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সংকট সৃষ্টি করে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়।
অ্যাবের সিনিয়র প্রকৌশলী মো. মহসিন আলীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর পরিচালায় মানববন্ধনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাকির হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত বিভিন্ন পর্যায়ের গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে রান্নার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চুলাপ্রতি ১৭৫ টাকা বেশি দিতে হবে। এখন একচুলার জন্য মাসে ৯২৫ টাকা ও দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা দিতে হবে।