ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: ঢাকা : ২৫ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনবহরে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৯ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ২৫ জনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া ১৩ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. রোস্তম আলী বুধবার বেলা ১২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার সময় মামলার ৫২ আসামির মধ্যে জীবিত আছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে ৩২ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিরা সবাই ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ঈশ্বরদীর সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা মোখলেসুর রহমান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া পিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন ও পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার ও অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার।
জানা গেছে, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেনবহর যাত্রাবিরতি করলে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন।
পরে এ মামলাটি হয় ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এ ঘটনায় প্রথমে বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজন আসামি থাকলেও পরবর্তীতে সিআইডি অধিকতর তদন্ত শেষে মোট ৫২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়। এদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ৫ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। ৩২ জন কারাগারে, বাকি ১৫ জন এখনও পলাতক।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্তশেষে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।
মামলাটির সময় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
বিস্তারিত আসছে…