ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শারম্যানের প্রস্তাবকে একটি উন্মত্ত ধারণার (ক্রেজি আইডিয়া) ওপর ভিত্তিক করে, ভিত্তিহীন প্রস্তাব বলে মন্তব্য করেছে মিয়ানমার। আরও বলা হয়েছে, এমন প্রস্তাব ভৌগলিক অখণ্ডতা ও একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অসম্মান দেখানো। মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন সূত্র ভারতের অনলাইন ইকোনমিক টাইমসকে এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়ে ওই পত্রিকায় সাংবাদিক দীপাঞ্জন রয় চৌধুরী একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। এর শিরোনাম ‘ইউএস কংগ্রেসম্যান প্রোপোজাল ফর রাখাইন স্টেট আন্ডার বাংলাদেশ বেজলেস: মিয়ানমার’। অর্থাৎ রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের অধীনে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবকে ভিত্তিহীন বলেছে মিয়ানমার। এতে তিনি আরো লিখেছেন, এমন প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পদক্ষেপ নিলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান ভারতের।
একই সঙ্গে ভারত কোনো দেশের সার্বভৌমত্বকে করা লঙ্ঘন সমর্থন করে না।
দীপাঞ্জন রয় চৌধুরী আরো লিখেছেন, সম্প্রতি নৃশংসতার শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে এসে এখন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অবস্থার কারণে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের অধীনে আনার জন্য সম্প্রতি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বাজেটের শুনানিতে এ প্রস্তাব করা হয়েছে ১৩ই জুন। কংগ্রেসে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শারম্যান তার প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনার প্রস্তাব বিবেচনা করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন করে দক্ষিণ সুদানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রশ্ন রাখেন তাহলে কেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় একই রকম পদক্ষেপ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র? তিনি এক্ষেত্রে পরামর্শ দেন, যদি রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব মিয়ানমার না নেয়, তাহলে রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনা যৌক্তিক। নিষ্পেষিত মানুষের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ।