ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট : পৃথক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন এবং ডাচ রাণী ম্যাক্সিমা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলাদা ফ্লাইটে তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদ্বয়কে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। পরে ভিআইপি লাউঞ্জে জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী হিসাবে দুই টার্মে টানা ১০ বছর দায়িত্ব পালনকারী কোরীয়ান কূটনীতিক বান কি মুনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন মন্ত্রী হওয়ার আগে জাতিসংঘে ৫ বছরের বেশী সময় প্রতিনিধিত্বকারী ড. মোমেন। মুন এসেছেন সস্ত্রীক। কূটনৈতিক ও সরকারী সূত্র জানিয়েছে, গত রাতেই ঢাকায় এসে পৌছেছেন আরেক গুরুত্বপূর্ণ অতিথি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট ড.হিলদা হেইনি। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন এডাপটেশন (জিসিএ)’ সম্মেলনে যোগ দিতে ২ দিনের সফরে এসেছেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটির প্রেসিডেন্টকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রাতে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১ দিনের এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এতে জিসিএ’র বর্তমান সভাপতি বান কি মুন ‘ওয়ে ফরওয়ার্ড এন্ড নেক্সট স্টেপ টুওয়ার্ডস ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেশন’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই হোটেলে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের সাবেক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, গ্লোবাল কমিশন ফর এডাপটেশন সেন্টারের সিইও ড. পেট্রিক ভি ভারকোইজেন, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট’র নির্বাহী সহ-সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশ বাপনা এবং সিজিএ কমিশনার এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা প্রস্তুুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
বিকালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের মধ্যে বঙ্গভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রেসিডেন্ট ড. হিলদা হেইনি এবং বান কি মুন হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার যাবেন। সেখানে তারা উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং খুরুসকূল বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ড. হিলদা বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এদিকে অর্থনীতি বিষয়ক অন্য অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন রাণী ম্যাক্সিমা। তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।