জয়নগর (কলারোয়া) প্রতিনিধি: কলারোয়ায় এক তহশীলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে খাস জমিতে পাকা ইটের গাঁথুনি দিয়ে ঘর তৈরীতে সহয়তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার ৯৩ নং জালালাবাদ মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ১০৩৭ নং দাগে জালালাবাদ গ্রামের মালায়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান মোড়লের ছেলে শিবির ক্যাডার ইমরান হোসেন প্রায় মাস খানেক আগে জালালাবাদ বাজারে লোহার রড, ইটের খোয়া ও বালির মিশ্রনে কংক্রিট দিয়ে পিলার তৈরী করে পাঁকা দোকান ঘর তৈরী শুরু করে। বাজারের মধ্যে সরকারি জমি জবর দখল করে দোকান ঘর তৈরিতে এলাকার সচেতন মানুষরা ফুঁসে ওঠে। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গেলে জালালাবাদ গ্রামবাসীর অনেকে বলেন, বিষয়টি তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রসাশককে মোবাইল ফোনে অবহতি করেছিলেন। পরে গত ১৯ শে জুন উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো এবং জালালাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার আমিরুল ইসলাম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে ওই জমি সরেজমিন মাপ জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করেন। তাতে দেখা যায়, ইমরান হোসেন সরকারের খাসএক শতক জমি জবর দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করছে। তখন কানুনগো সকলের সামনে ইমরানকে বলেন,নির্মাণাধীন দোকান ঘরের অর্ধেক অংশ সরকারের খাস জমিতে তৈরী হচ্ছে। সরকারের জমিতে দোকান ঘর তৈরী করা যাবেনা। তাকে সরকারের জমি অবমুক্ত করার জন্যও বলেন তিনি। কিন্তু গত তিন দিন আগে পুনরায় উক্ত ইমরান হোসেন সরকারি ওই জমিতে কংক্রিটের কাজ শুরু করেছে। জালালাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে মাত্র ২০ গজ দুরে খাস জমিতে ওই পাঁকা কাজ চলতে থাকায় তহশীলদারের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, জালালাবাদ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে সরকারের জমিতে কংক্রিট দিয়ে পাঁকা দোকান ঘর তৈরীতে সহয়তা করছেন। এবিষয় উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো’র সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে জালালাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার আমিরুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৭২০-৫৪৮৯০৮ মুঠোফোনে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য ফোন করলে তাঁর ফোনে রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Check Also
সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ১০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ
মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সীমান্তে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০ বোতল ভারতীয় …