শ্যামনগর থানা পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার কোহিনুর, এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল মেহেদীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট : সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অপকমের গডফাদর মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর ও চোর সেন্টিকেটের পরিচালোনা করি ক্রস ফায়ারে নিহত সস্ত্রাসী রেজাউলে প্রধান সহযোগী শ্যামনগর থানা পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার মিঠা চন্ডীপুর গ্রামের ইসমাইল বলে অভিযোগ উঠেছে।

মল্লিকের ছেলে জনৈক মোঃ কোহিনুর ইসলাম, শ্যামনগর থানার এএসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান এদের ষড়যন্ত্রের স্বীকারে নির্যাতিত হয়ে পরিত্রাণ পেতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, বাংলাদেশ পুলিশ পরিদর্শক আইজি, ডি আইজি,এসপি সাতক্ষীরা এর নিকট আবেদন দাখিল করেছেন শ্যামনগরের চন্ডীপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদ শেখ এর ছেলে মোঃ মুনছুর শেখ (৫০).আবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ইং ২৭/১০/২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে এবং সাতক্ষীরা

স্টেডিয়ামে মোঃ মুনছুর শেখ ও তার বিবাহিতা দুই স্ত্রী সহ বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নিকট আত্মসমর্পণ করে।

এবং আইজিপি মহোদয় মুনছুর শেখ কর্মসংস্থানের জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ভ্যান ও তার স্ত্রীদের জন্য দুটি সেলাই মেশিন প্রদান করেন। এর পর থেকে মুনছুর ও তার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে আসছিলো।

কিন্তু এমতাবস্থায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্যামনগর থানার কথিত ক্যাশিয়ার কোহিনুর ইসলাম, এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান মুনছুর শেখ পরিবারের উপর চরম দূর্ব্যবহার ও অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।

মাদকাসক্ত এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান বিভিন্ন সময় আমাকে তাদের দেওয়া মরণব্যাধি নেশা ইয়াবা বিক্রি করে দিতে বলে এবং বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে লোকজন আটকিয়ে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়ে চালান দেওয়ার জন্য আমার কাছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল দাবি করে৷

মুনছুর শেখ বর্তমানে মাদক ব্যবসায় জড়িত না থাকার কারনে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইয়াবা ও ফেনসিডিল সরবরাহ করতে না পারায়। শ্যামনগর থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে দেয়। যার নং-০৬, তারিখ- ১০/১২/১৮। যার প্রমান স্বরূপ রেকডিং সংযুক্ত করা আছে।

এ ছাড়াও কনস্টেবল মেহেদী হাসান মুনছুর শেখ কাছে মোবাইল ফোনে ফেনসিডিল চায়৷ কিন্তু মুনছুর দিতে না পারায় গত ২৭/০১/২০১৯ তারিখে শ্যামনগর মাইক্রো স্ট্যান্ডে মহব্বতের চায়ের দোকানে চা পান করা অবস্থায় তাকে বেদম মারপিট করে।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। উক্ত ঘটনার পর ওইদিন শ্যামনগর থানার মামলা নং- ২৪ এ জনৈক খোকন এর সাথে মুনছুর কেও আসামী করে। অথচ উক্ত খোকনের সাথে মুনছুরের সম্পর্ক মোটেও ভাল নহে।

একসময় খোকন তার নিজ বাসায় মুনছুর কে ডেকে নিয়ে পুলিশ দিয়ে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়। সেখান থেকে দীর্ঘদিন মুনছুর ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। মুনছুরের পায়ে ও হার্টে রিং পরানো।

সে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করা কালে ২৬/০৩/২০১৯ তারিখে শ্যামনগর থানায় ২৩ নং মামলায় তাকে আসামী করা হয়। এখানেই ক্ষ্যান্ত নয়।

শ্যামনগর থানার পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার কোহিনুর নিজেই চুরি, হত্যা চেষ্টা, মাদক সহ বহু মামলার আসামী। সে সবসময় এএসআই রফিক ও কনস্টেবল মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করে মুনছুর কে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

উক্ত এএসআই রফিক ও কনস্টেবল মেহেদী এযাবৎ কাল যতগুলো লোককে ধরে এনেছে তাদের মামলাগুলো তদন্ত করে তার প্রমাণ মিলবে। এই ৩ জনের অত্যাচারে তাদের পরিবার ও জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

আইজিপি মহোদয়ের নিকট দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেও এই ৩ জনের ষড়যন্ত্রের স্বীকারে মুনছুর দূর্বিসহ জীবনযাপন করছে। এর আগেও মুনছুর পুলিশের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে এএসআই রফিক ও কনস্টেবল মেহেদীর নাম গোপন রেখেই সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে উল্লেখ আছে যে ১৮/১২/২০১৮ তারিখে মুনছুর মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি ও পুলিশি হয়রানি হতে মুক্তির দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন মুনছুর ও তার স্ত্রীদ্বয় ফরিদা বেগম ও শাহনাজ পারভীন গত ২৭ শে অক্টোবর ২০১৮ তারিখে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে মাননীয় আইজি মহোদয়ের নিকট আত্মসমর্পণ করেন এবং তাদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি ভ্যান ও দুটি মেশিন দেওয়া হয়।

এরপর হতে তারা স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করা সত্বেও শ্যামনগর থানা পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার কোহিনুর ইসলাম বিভিন্ন সময় তাদের নিকট অবৈধভাবে টাকা দাবি করে। উক্ত টাকা না দিলে শ্যামনগর থানা পুলিশকে ভুল বুঝাইয়া বিভিন্নভাবে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং আরো দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিযয়েছে।

যার মামলা নম্বর-৬, তারিখ ১০/১২/২০১৮ শ্যামনগর থানায় উক্ত মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে আমার এবং স্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছে। মুনছুর বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে এছাড়াও একটি ২২ বছরের একটি প্রতিবন্ধী কন্যা সহ পাঁচটি কন্যা সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে অগ্রণী হলেও তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ফলে তাদের জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আত্মহত্যা করা ছাড়াও তার আর কোন উপায় নেই।

উপরোল্লিখিত মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি এবং পুলিশি হয়রানি হতে মুক্ত পাওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার বরাবার আবেদনের তদন্ত করতে ২০/১২/০৮ তারিখে সাতক্ষীরা সদরের সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ূন কবির স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি মামলার স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত করে উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনা সত্য প্রমানিত কর প্রতিবেদন দেন।

তার পরেও তাতে কোন লাভ হয়নি। উক্ত ঘটনার পরে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন লোকজনদের ভুল বুঝিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের সম্পর্কে নানা ধরনের হয়রানি মুলক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এবিষয়ে এলাকাবাসী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হয়। এছাড়াও তাদের ৩ নং শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম জহুরুল হায়দর (পিপি)ও ৬নং ওয়াড সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ গাজী বলেন সে পঙ্গু অবস্থায় আছে তার স্ত্রী দ্বয় সরকারি রাস্তার কাজে কমরত আছেন।

তার প্রতিবন্ধী কন্যার জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের জানা মতে তারা স্বভাবিক ভাবে জীবন যাপন করিতেছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বরাবার আবারও আবেদনটি সহকারী পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল এএসপি

মোঃ জমিরুল ইসলামকে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এবিষয়ে মুনসুর শেখের নিকট জানতে চাইলে সে জানায় আমি যদি সু বিচার না পায় তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।satkhiratimes

Check Also

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ১০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ

মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সীমান্তে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০ বোতল ভারতীয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।