ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ রংপুরে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ নামাযে জানাজা শেষ হয়েছে। আজ বেলা ২টা ২৮মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে এরশাদের দাফন নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় নেতাকর্মী ও এরশাদের ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে। তারা লাশবাহী গাড়ির চারদিক ঘিরে রাখেন। তাদের প্রিয়নেতা এরশাদের লাশ রংপুরের মাটিতে দাফনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। লাশবাহী গাড়িটি পল্লীনিবাসের দিকে নিয়ে যেতে চান তারা। তখন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
মাইকে বারবার ঘোষণা দেয়া হচ্ছিলো- যে কোনো মূল্যে এরশাদের দাফন হবে রংপুরে। একপর্যায়ে লাশবাহী গাড়িটি ধীরে ধীরে পল্লী নিবাসের দিকে এগুতে থাকে। লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে ছিলেন এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমার রাঙ্গা ও সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ নেতৃবৃন্দ।
সকাল ১১ টায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে রংপুরে পৌঁছে এরশাদের লাশ। এরশাদের লাশ বহনকারী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসের হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করা হয়। এসময় বিপুল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। সেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাকে শেষ দর্শন করেন। এসময় সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। শ্রদ্ধা জানানোর পর থেকেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন জনতা। তারা প্রিয় নেতার লাশ ঢাকা নিতে দিবেন না বলে হুশিয়ারি দেন। এসময় এরশাদের ‘শেষ ঠিকানা হবে রংপুর, প্রিয়নেতা এরশাদকে রংপুরে সমাহিত করতে হবে’ লেখা স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়াতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের।
রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের লাশ রংপুরে রেখে দেবেন। এরশাদকে রংপুরেই দাফন করতে হবে।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মারা যান সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলে
https://youtu.be/wNdHwvrAJIw