ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ টেকনাফের বহুল আলোচিত ইয়াবা সম্রাট শাহাজাহান চেয়ারম্যানকে যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক হন তিনি। শাহজাহান মিয়া স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের ৯ নম্বর তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ শাহজাহানকে আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন। শাহজাহানের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং ইয়াবার ৫ টি মামলা রয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবং শ্রমিক লীগের সভাপতি এই ইয়াবা কারবারি এর আগে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি এলাকায় সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির বাম হাত এবং তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ডান হাত হিসেবে পরিচিত।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দেন মো. শাহজাহান। এ সময় তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, তিনি একাধিক মামলার কালো তালিকাভূক্ত আসামি।
পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পোর্ট থানা পুলিশে তুলে দেয়া হয়। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালে মাসুদ করিম জানান, আটক যাত্রী পোর্ট থানার হেফাজতে আছে। অধিকতর যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মাদকদ্রব্য পাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ইয়াবার গডফাদার জাফর আহমদ ও তার তিন পুত্রের নাম রয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে আত্মসমর্পনকারী ১০২ জনের সাথে আত্মসমর্পন করেন এক পুত্র দিদার আহমদ। বড় পুত্র মোস্তাক আহমদ নিখোঁজ রয়েছেন আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে। সম্প্রতি ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান কঠোর হলে পিতা জাফর আহমদ ও ছেলে মো. শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে তাদের লেক্সগুর বিলস্থ বাড়িটি অজ্ঞাত হামলায় ভাংচুরও হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য রেড এলার্ট জারি করে। এরইমধ্যে বেনাপোল সীমান্তে আটক হল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান।