ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট : শত জুলুমেও বিএনপি সত্য উচ্চারণ করে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ এই রাতের অন্ধকারের সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রলাপ বকছে। বর্তমানে যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় গুজব।
‘সরকার ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ হয়ে ছেলেধরা গুজবের মতো ডেঙ্গুজ্বরকেও গুজব বলছে। ডেঙ্গুতে মানুষ মরছে, মরছে চিকিৎসক, মরছে শিশুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা।’
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সিভিল সার্জনসহ কয়েকজন ডাক্তার মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। অথচ সরকারি দলের নেতাসহ মেয়ররা জনগণকে ধমক দিচ্ছেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস গুজবের ফ্যাক্টরি।
এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা জাতির সামনে তুলে ধরা, সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা, শেয়ারবাজার লুট নিয়ে কথা বলা, গত ছয় মাসে শেয়ারবাজার থেকে ৪৩ হাজার কোটি টাকা মূলধন উধাও নিয়ে কথা বলা, ব্যাংক লুটের কথা বলা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা, বিরোধী দলের ওপর সরকারি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলা, নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলাই কি গুজব?
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সেতুমন্ত্রীর ভাষায় দুর্নীতির উন্নয়নের পালকি এগিয়ে যাওয়ার কথাই কি শুধু বলতে হবে?
‘গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দেশে আইয়ুব খান মডেলের উন্নয়নের জয়গানই কি গাইতে হবে? মনে হয় তা হলেই সেতুমন্ত্রীরা খুশি থাকবেন।
তবে যে বাতাবরণটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবর্তিত হচ্ছে, তাতে শত জুলুমের মুখেও বিএনপি সত্য উচ্চারণ করে যাবে বলে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বিদ্যমান চারদিকের ভয়ঙ্কর অরাজকতা দূর করতে জনগণের প্রলয় সৃষ্টি হবেই। আর আপনারা অন্ধ হলেও সেই প্রলয় বন্ধ হবে না। এই ভয়ঙ্কর নাৎসী শাসনের অমানিশার মধ্যে বিএনপিই কেবল জনগণের আশা-ভরসার উদিত একটি আলোকবিন্দু।