ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: আসামের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এর প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে একটি প্রত্যাবর্তন বিষয়ক চুক্তি করতে খুব বেশি আগ্রহী ভারত। তাই ৭ই আগস্ট বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠকে অবৈধ অভিবাসীর প্রসঙ্গটি উত্থাপন করতে পারেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে এই দু’নেতার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকে আরো উঠে আসতে পারে সীমান্তে পাচার, ভারতীয় ভুয়া মুদ্রা, ভারতীয় বিদ্রোহী গ্রুপ, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও জনগণ সম্পৃক্ত বিভিন্ন ইস্যু। এ খবর দিযেছে ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমস।
এতে বলা হয়, দুই দেশেই জাতীয় নির্বাচনের পরে এটাই হবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। একই সঙ্গে ভারতে নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে বিদেশী কোনো নেতার সঙ্গে অমিত শাহের প্রথম বৈঠক। আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তার ৬ দফা বৈঠক হতে পারে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
এসব বৈঠকে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে’তে বোমা হামলার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। ইসলামিক স্টেট এবং আল কায়েদা বিশ্বজুড়ে যে হুমকি সে বিষয়টি মাথায় রেখে এ আলোচনা হতে পারে। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এই গ্রুপটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাবেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য থেকে যুবসমাজকে দলে ভেরানোর চেষ্টা করার কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি নিষিদ্ধ করেছে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ গ্রুপটিকে।
আলোচনায় উঠতে পারে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের অবস্থা। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী ভারত সফরে যায়। অন্য যেকোনো মিশনের তুলনায় ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুটি সহকারী হাই কমিশন থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়। সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের দুই নেতার এ বৈঠকে দুই দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারাও অংশ নেবেন। আলোচনার তালিকায় রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়ে পর্যালোচনাও।