বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খাটাল লতিফ ও রাসেল দক্ষিণ কামারবায়সা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করে ম্যানেজিং গঠনের ফলে গ্রামবাসীর সাথে এই বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তবে বাঁধা দিতে গিয়ে লতিফ ও তার বাহিনীর হাতে নির্দয়ভাবে প্রহৃত হয়েছেন আবদুল আহাদ ও তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন এবং তাদের দুই ছেলে তোফাজ্জল ও মুস্তাফিজ।
গ্রামবাসী জানান, খাটাল লতিফ ও রাসেল ওই স্কুল কমিটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা অপকর্ম করে আসছে। সম্প্রতি স্কুলের নামে বেশ কিছু টাকা বরাদ্দ আসায় তা লুটেপুটে খাবার পরিকল্পনা করে তারা। এরই জেরে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে আবদুল আহাদকে রাখা হয়নি। অথচ আবদুল আহাদ গ্রামের একজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত স্কুল কমিটির সাথে থেকে শিক্ষা প্রসারে কাজ করে আসছেন। আবদুল আহাদ জানান, কমিটিতে তার নাম তো রাখা হয়ই নি। এমনকি তার দুই ছেলের কারও নামও রাখা হয়নি সদস্য হিসেবে। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে স্কুলের কাছে লতিফ রাসেল গ্রুপের সাথে বিবাদের সৃষ্টি হয়।
আবদুল আহাদ অভিযোগ করে বলেন, লতিফ ও রাসেল এবং স্থানীয় পলাশ, শরিফ, মঞ্জু, মোমেনসহ বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আবদুল আহাদ পরিবারের ওপর হামলা করে। তাদের হাতে ছিল লোহার রড ও দা কুড়াল। এ সময় তারা বৃদ্ধ আবদুল আহাদকে মারপিট করে আহত করে। ঠেকাতে গিয়ে মারপিটের শিকার হন তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও দুই ছেলে তোফাজ্জল ও মোস্তাফিজ। আবদুল আহাদ জানান, আমাদের ওপর বিনা কারণে এই হামলা চালাতে থাকলে গ্রামবাসী রুখে দাঁড়ায়। তারা লতিফকে কিল চড় থাপ্পড়সহ বেশ উত্তম মধ্যম দেয়। এতেও সে দমন না হওয়ায় গ্রামের আরও লোকজন ধাওয়া দিলে লতিফ ঘটনাস্থল থেকে দে ছুট। অবশেষে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান আবদুল লতিফ, যার প্রধান পরিচয় ভারতীয় গরু পাচারকারী চোরাচালানি খাটাল লতিফ।
বৃদ্ধ আবদুল আহাদ জানান, খাটাল লতিফের মেয়ের বিয়ে সম্পর্কে তার (আবদুল আহাদ) পরিবারকে লতিফ বিনা কারণে দোষারোপ করে আসছে। সেই রাগ শোধ দিতে আজ খাটাল লতিফ আমার পরিবারের ওপর হামলা করলো। তবে গ্রামবাসীর গণপিটুনি খেয়ে শেষতক সে পালিয়ে গেছে। তবে গস্খামবাসীর এই হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যসহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ গ্রামবাসী। আহতরা বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতরা হলেন, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুরুল ইসলাম, একই এলাকার মমিন সরদার, মফিজুল ইসলাম, মকলেছুর রহমান উজ্জল, রুবিনা আক্তার সাথী ও সবুজ হোসেন।
সাতক্ষীরা থানার এসআই কবির হোসেন বলেন, বিষয়টি ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।