আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির খোলপেটুয়া ও মরিচ্চাপ নদীর অব্যাহত ভাঙনে শ্রীউলা ও বড়দল ইউনিয়নের একাধিক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙনে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদী সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকবাসি জানান, খোলপেটুয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও অব্যাহত ভাঙনে হাজরাখালি গ্রামের মিনাজ গাজীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এখানে প্রায় দশ হাত চওড়া বেড়িবাঁধ ভাঙতে ভাঙতে আর মাত্র এক হাত বাকি রয়েছে। যা দিয়ে রাতের জোয়ারেই পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, হাজরাখালী নতুন খেয়াঘাট থেকে কোলা খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কি. মি. পাউবো’র বেড়িবাঁধে বর্ষা মৌসমে ও ভৌগলিক কারণে ভাঙন লেগেই থাকে। এ বাঁধের ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের কোন কার্যকর ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত কেউ গ্রহণ করেনি। প্রতিবার ভেঙ্গে যায়, আমরা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হই। ভাঙনের ফলে মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং আমরা অর্থনৈতিকভাবে বছরের পর বছর ধরে দুর্বল হয়ে পড়ছি। চলতি অমাবশ্যার গোণে মিনাজ গাজীর বাড়ির পাশের বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করেও কোন লাভ হচ্ছেনা। বাঁধটি মেরমতে দ্রæত সরকারি বরাদ্দের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে সরজমিনে কেয়ারগাতি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কেয়ারগাতি খেয়াঘাট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় দশ হাত বেড়িবাঁধ মরিচ্চাপ নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় দিলিপ অধিকারির বাড়ীর সামনে উক্ত বাঁধটির মাত্র এক হাত অবশিষ্ট আছে। এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত দুই গোণ আগে বাঁধটিতে ভাঙন লেগে গেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাটির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই বস্তাগুলি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আরো মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে বড়দল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ভাঙনের আতঙ্কে স্থানীয় অধিবাসীরা দ্রæত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Check Also
ডিসেম্বরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এল ২ বিলিয়ন ডলার
চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধ পথে ২০০ কোটি মার্কিন (২ বিলিয়ন) ডলারের …