যশোর ব্যুরো: যশোর সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম শিশির ঘোষ (৩২)।
বুধবার ভোরে যশোর পুলেরহাট-রাজগঞ্জ সড়কের সদর উপজেলার কাবুলের ইটভাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহত শিশির সন্ত্রাসী। তার নামে অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত শিশির ঘোষ যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ার নিত্য ঘোষের ছেলে। তার ভাই প্রদীপ ঘোষ ইতোপূর্বে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, শিশিরকে ধরে নিয়ে খুন করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সরকারি মুরগি খামার এলাকা থেকে শিশিরকে চারটি ককটেলসহ আটক করে ডিবি।
তাকে থানায় আনার পর বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। এর পর ডিবি ও থানা পুলিশ শিশিরকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায়। মাহিদিয়া এলাকার একটি ইটভাটার কাছে পৌঁছলে শিশিরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
পুলিশও পাল্টা গুলি করে। দুপক্ষের গোলাগুলিতে শিশির গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশিরের নামে অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেন ওসি।
নিহতের কাকা সুনীল ঘোষ বলেন, শিশিরের নামে কোনো মামলা ও ওয়ারেন্ট ছিল না। তাকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমি ডিবির ওসিকে ফোন করেছিলাম, তিনি আমাকে বলেছিলেন কিছু হবে না।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি, ছেড় দেব। কিন্তু সকালে মরদেহ পেলাম। পুলিশের নামে মামলা করব। শিশিরকে ধরে নিয়ে খুন করা হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই