ক্রাইমর্বাতা রিপোট: কোরবানির ঈদ আসন্ন। ভারতীয় গরু এবার দখল করতে পারেনি সাতক্ষীরার বাজার। দেশী গরুর দখলে জেলার প্রত্যেকটি পশুর হাট। তাই জমে উঠেছে পশু হাটগুলো। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রত্যেকটি হাটে। ক্রেতা-বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হচ্ছে হাটগুলো। জেলা পশুহাটগুলোর মধ্যে অন্যতম দেবহাটার পারুলিয়া, সদরের আবাদের হাট, আশাশুনির বুধহাটা, তালার পাটকেলঘাটা, কলারোয়া পৌর বলফিল্ডসহ বিভিন্ন হাট এখন কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদভারে মুখরিত। শেষ মুহূর্তে এসব হাট ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ক্লাবের মাঠে বসছে পশুর হাট।
দেবহাটার পারুলিয়া বাজার কমিটির ইজারাগ্রহণকারী ও জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা আলফেরদাউস আলফা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চালের বৃহৎ পশু কেনাবেচার স্থান দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ার গরুহাট। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ হাট। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ও জেলার বাইরে থেকে খামারিরা তাদের পালিত পশু বিক্রয় করতে আসে এই হাটে। হাটের পরিবেশ ক্রেতা ও বিক্রেতা বান্ধব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। হাটে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন ধরনের পশু বিক্রয় হয়। ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
গরু বিক্রেতারা জানান, জেলার অন্য পশুরহাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশি পশু আসছে। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু না আসায় দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ক্রেতারা। হাটে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত গরু পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ৩৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা দামের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে। ৪০-৫৫ হাজার টাকার মধ্যেও বেশকিছু গরু বিক্রি হচ্ছে। খাসি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক বেশি। তবে ৬-৮ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
পারুলিয়া হাটের ইজারা গ্রহণকারী ও জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা জানান, ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর সমাগম বেশি। তাছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোন প্রকার চুরি, ছিনতাই না ঘটে। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম থাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
আশাশুনির বুধহাটা থেকে আব্দুর রব জানান, সেখানেও ২৫ থেকে ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের গরু পাওয়া যাচ্ছে। ছাগল ও ভেড়াও উঠছে হাটে। তালার পাটকেলঘাটা থেকে মাস্টার মুজিবুর রহমান জানান, নানা শ্রেণির ক্রেতা-বিক্রেতার পদভারে মুখরিত পাটকেলঘাটা পশুর হাট। কেনা-বেচা ভাল।