ক্রাইমর্বাতা রির্পোট:: নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ফিরে যেতে আল্লাহ যেন সুযোগ করে দেন, শুক্রবার জুমার নামাজের বিশেষ মোনাজাতে রোহিঙ্গা ইমামরা সেই দোয়াই করেছেন।
রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের মুখে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসার দ্বিতীয়বর্ষ পা রাখতে যাচ্ছে দেশটির এই সংখ্যালঘু মুসলমানরা।-খবর এএফপি
২০১৭ সালের আগস্টের পর সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আগে থেকেই অবস্থান করা দুই লাখ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তারা যোগ দেন।
মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব না দেয়ায় দুই বছর পরেও প্রতিবেশী দেশের বিশাল শরণার্থী শিবিরেই থাকতে যাচ্ছেন তারা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কুতুপালংয়ে খাদিজাতুল কুবরা মসজিদের ইমাম মোনাজাতে মিয়ানমার সরকারের হৃদয়টা তাদের জন্য নরম করে দিতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
ইমাম আবদুল হাকিম বলেন, হে আল্লাহ, আমাদের শান্তির সঙ্গে দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিন।
রাখাইনে ব্যাপক ধরপাকড়রের সময় হাতের কাছে যা পেয়েছে, তা নিয়েই রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাড়িঘরে ছেড়ে চলে আসেন।
শরণার্থী সাইফুল আলম বলেন, আমাদের ওপর যা ঘটেছে, সেজন্য আমরা আল্লাহর কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছি। আমরা দেশে ফিরতে চাই। কিন্তু যখন আমাদের দাবি পূরণ হবে, কেবল তখনই যাবো। সেই সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমরা আজ আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।
রোহিঙ্গা ঢল নামার দ্বিতীয়বর্ষ উপলক্ষ্যে রোববারে আশ্রয়শিবিরে বিক্ষোভে অংশ নিতেও মসজিদের মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে ফের আমাদের শান্তিপূর্ণ দাবি জানাবো।
বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নিপীড়নের অবসান ঘটায়নি মিয়ানমার। কাজেই সেখানে ফিরে যেতে শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।