ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ চট্টগ্রাম ব্যুব্যে : চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান(৫৪) ও সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম(৫৭)সহ ১২ জন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- মাহমুদুল আলম (৪৯), মো. ওসমান(৩৭), আহমেদ খালেদ(৩৮), মো. তোহিদুল আনোয়ার সোহেল (৪৫), আমির হোসেন (৫০), মুহাম্মদ উল্লাহ (৫১), ফারুকে আজম (৫২), ছিদ্দিকুর রহমান (৫৫), নাছির উদ্দিন (৬৫) ও জাকির হোসেন (৫৫)।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়ার দাবি, তারা বাসাটিতে গোপর বৈঠক করছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ মহানগর জামায়াতের আমিরসহ ১২জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার এসআই ইমাম হোসেন বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা দায়ের করেছে। পাঁচলাইশ থানার মামলা নং ৪২ ও ৪৩ ২৯.০৮.২০১৯ । এতে জ্ঞাত ১২জনসহ অজ্ঞাতনাম আরো ১৪/১৫ কে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ। শুক্রবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগরী আমীরসহ ১২ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে নেতৃবৃন্দের বিবৃতি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ নগর জামায়াতের ১২ জন নেতাকে ঘরোয়া বৈঠক থেকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম.শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক আহছানুল্লাহ্, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর জনাব মুহাম্মদ জাফর সাদেক, কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল আলিম, খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল মোমেন ও বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুস সালাম আজাদ এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি বৈধ গণতান্ত্রিক দল। সকল প্রকার সভা,সমাবেশ ও ঘরোয়া মিটিং করার অধিকার জামায়াতের রয়েছে। এ অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানই জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলকে দিয়েছে। অতএব ঘরোয়া বৈঠককে গোপন বৈঠক আখ্যা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা শুধু অনৈতিকই নয় বরং সংবিধানের চরম লঙ্গন, সম্পুর্ণ অন্যায়,অনভিপ্রেত ও মহাজুলুমের শামিল। আমরা এহেন অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী করছি। সাথে সাথে সরকার ও প্রশাসনের এহেন জঘন্যতম জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছার হওয়া ও ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
Check Also
তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ
মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি …