সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এক নারী তার বাবা-মার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনরে আয়োজন করেন, উপজেলার নকিপুর গ্রামের ভবেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর মেয়ে নব মুসলিম রমা চক্রবর্তী ওরফে মোছাঃ তনু আক্তার (বর্তমান নাম)।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে একই উপজেলার হায়বাতপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে তুহিন ইসলামের সাথে পরিচিতি ও জানা শুনা হয়। এর ফলে প্রতিনিয়ত দেখা সাক্ষাত, কথাবার্তা, মোবাইলে আলাপ আলোচনায় ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কে চিনদিন অটুট রাখার জন্য উভয়ের পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাবহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে একমত পোষন করেন। এরপর চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে তিনি স্বেচ্ছোয়, স্বজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় ময়মনসিংহ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে এফিডেফিট এর মাধ্যমে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে এফিডেফিট মূলে তারা উভয়ই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একে অপরকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করেন। কিন্তু তাদের বিবাহের বাঁধ হয়ে দাড়ায় নবমুসলিম তনুর বাবা মাসহ পরিবারের লোকজন। তার বাবা তাকে ১৭ বছরের নাবালিকা দেখিয়ে তার স্বামী তুহিনকে প্রধান আসামী করে আরও ৩ জন জ্ঞাতসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ প্রকৃত পক্ষে তার জন্ম নিবন্ধন ও এসএসসির সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ১৮ বছর ৭ মাস। বর্তমানে তিনি এখন সন্তান সম্ভাবা অসহায় একজন নারী। কয়েক মাস পরেই হয়তো তার সন্তান ভুমিষ্ঠ হবে। বর্তমানে তার স্বামী ছাড়া তাকে আর দেখার কেউ নাই। এমন সময় তার স্বামীকে কছে পাওয়া তার একান্ত জরুরি। এমতাবস্থায় নবমুসলিম তনু আক্তার যাহাতে আইনগত ও আদালতের সহযোগিতা পেতে পারেন সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##
০৩.০৯.১৯