ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ডেঙ্গু, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগের পর এবার বাংলাদেশে পুলিশ, বিদেশী নাগরিকসহ বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করে উগ্রপন্থিরা আক্রমণ-চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে বৃটেন।
বৃহস্পতিবার আপডেট করা সর্বশেষ ভ্রমণ সতর্কতায় ২০১৯ সালের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী তৎপরতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বৃটিশ সরকার তার নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
সতর্ক বার্তায় পুলিশকে টার্গেট করে সর্বশেষ গত ৩১ শে আগস্ট ঢাকায় যে হামলা হয়েছে তার বিস্তারিত তুলে ধরে বলা হয়েছে আক্রমণের ওই ঘটনা ২৯ এপ্রিল এবং ২৬ মার্চ ঢাকার দুটি পুলিশ স্টেশনের কাছাকাছি এক্সপ্লোসিভ বিস্ফোরণের ঘটনার মতোই। ২৪ জুলাই ঢাকার পৃথক স্থান থেকে দুটি এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস উদ্ধার এবং ওই ডিভাইস দুটি সিকিউরিটি ফোর্সের তৈরি বলে পুলিশের তথ্য পাওয়ার বিষয়টিও বৃটিশ সরকার প্রচারিত নিরাপত্তা সতর্কতায় স্থান পেয়েছে।
বৃটেন তার নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বড় জমায়েত বিশেষ করে বিদেশীদের যাতায়াত স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে বলেছে, যেমনটা প্রায় সতর্কবার্তায়ই বলা হয়। আইএস-এর মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে উগ্রবাদীরা বৃটেন তথা পশ্চিমা স্বার্থের ওপর আঘাত আনার চেষ্টায় রয়েছে বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া অ্যাকশন, আটক এবং তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়ার তথ্যও সেখানে স্থান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে জ্যামে আটকা সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনকালে ৩১শে আগস্ট তাদের কাছাকাছি বিস্ফারণের ঘটনা ঘটে। এতে দু’জন পুলিশ সদস্য আহত হন।।