ক্রাইমর্বাতা রিপোট : বিরোধীদলীয় নেতা ছাড়াই কাল রবিবার শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন। এদিন বিকেল ৫ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হবে। এর আগে বিকেল ৪ টায় সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যসূচি চূড়ান্ত হবে। তবে সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে ডাকা এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই চলতি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর কারণে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মূলতবি করা হবে। পরদিন থেকে যথারীতি অধিবেশন চলবে। চলতি অধিবেশনে কাস্টমস বিল-২০১৯, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৯, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল-২০১৯, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র বিল-২০১৯ এবং বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯ নিয়ে আলোচনা ও পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর কারণে শূন্য হওয়া বিরোধীদলীয় নেতার পদ এখনো পূরণ হয়নি। ওই পদ নিয়ে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। নিজেকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের। সেই চিঠির যৌক্তিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা গ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়ে পর দিনই স্পিকারকে আরেকটি চিঠি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। তিনি আজ বেলা ১১ টায় সংসদ ভবনে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা আহ্বান করেছেন। এমতাবস্থায় বিরোধীদলীয় নেতা ছাড়াই অধিবেশন শুরু হচ্ছে এটা নিশ্চিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তাদের চিঠি নিয়ে আইন-কানুন খতিয়ে দেখা হবে। আর বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, তা কার্যপ্রণালী বিধিতে বলা আছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিরোধীদলের মধ্যে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা তারা নিজেরাই সমাধান করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশন গত ১২ জুলাই শেষ হয়। সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বানের বাধ্য-বাধ্যকতা রয়েছে।