ক্রাইমর্বাতা রিপোট : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতাকারী মন্ত্রী-এমপি, ১২৬জন বিদ্রোহী প্রাথী ও চেয়ারম্যানসহ প্রায় ২০০ তৃণমূল নেতাকে শোকজ করছে আওয়ামী লীগ।
রোববার থেকেই তাদের নামে শোকজ নোটিশ পাঠানো শুরু হবে। এসব নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহের সময় বেধে দেওয়া হবে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ সময় উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদদাতাদের শোকজের জবাব পাওয়ার পরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরই তাদের শোকজ করা হবে। তবে শনিবারের বৈঠকে তাদের শোকজের জবাব পাওয়ার পরই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের অবশ্য উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও মদদদাতা হিসেবে দেড়শ’ জনকে শোকজ নোটিস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কীভাবে দ্রুত করা যায়, সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। রোববার থেকে ১৫০ জনের মতো নেতার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস ইস্যু করা হবে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদদাতা হিসেবে মন্ত্রী-এমপি ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শোকজ নোটিস পাচ্ছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপি-মন্ত্রী যারা মদদদাতা, তারাও শোকজ পাবেন। মদদদাতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকতে পারেন। যাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ও মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে, তাদের সবাই শোকজ পাবেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিরোধীতাকারিদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে জানার কৌতূহল রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
অবশ্য দলের তৃণমূল নেতারা দাবি করছেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই বলেছিলেন ‘বিএনপি না এলে উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকবে’। এরপরও এখন কেন বিদ্রোহী প্রার্থী ও মদদদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমন কথা বলেছেন, তার কোনো রেকর্ড আছে? হাওয়া থেকে বললে তো হবে না।’ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি এমন কথা বলেছিলেন বলে সাংবাদিকরা জানানোর পর তিনি বলেন, ‘এটা অনেক আগের কথা।’
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূ