অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় আশাশুনি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তাজসহ গ্রেফতার-২

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ     সাতক্ষীরার আশাশুনি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের ওপর তিন দফা হামলা ও তার অফিস ভাংচুরের ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, অধ্যক্ষ মামলা দেওয়ার পর আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এ বিষয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি তার কয়েকজন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে নিজ কক্ষে অফিসিয়াল কাজ করছিলেন। এ সময় এক যুবক এসে তাকে সালাম দিয়ে একটু রুমের বাইরে আসতে বলে। তিনি বলেন, বাইরে আসার পরপরই তার সামনে আরেকটি ছেলেকে তারা বেদম মারধর করতে থাকে। তিনি বিষয়টি কী তা জানতে চাইলে তারা জানায় সে সাতক্ষীরা থেকে একটি মেয়েকে এনে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে অনৈতিক আচরণ করেছে। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে মারধর না করে তার কাছে দিতে বলেন। এ সময় তিনি তার অভিভাবকদের ফোন করে ডেকে আনেন। একই সময়ে সেখানে পুলিশও পৌছায় । পরে পুলিশ থানায় এনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয়ের ছেলেটিকে।

অধ্যক্ষ জানান, ছেলেটিকে তাদের হাতে কেনো দেওয়া হলো না এই কৈফিয়ত তলব করে তার ওপর হামলা করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী শাওন, আল মামুন ও সাইফুল্লাহসহ ৭/৮ জন ছাত্রলীগ ক্যাডার। এ সময় তারা ভাংচুর করে তার কক্ষ, জানালার গ্লাস, চেয়ার টেবিল। ইটপাটকেল ছুড়ে তান্ডব চালায় তারা। এভাবে পরপর তিনবার তিনি এই হামলার শিকার হন। তাকে চড় কিল ঘুষি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি জানান, সহকর্মী শিক্ষকরা হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সহকর্মীরাও কমবেশি লাঞ্ছিত হন। এ সময় তাজ বলে, এখানে চাকুরি করতে হলে আমাদের কথা মতো চলতে হবে। না হলে সাইজ করে দেবো। আক্ষেপ করে অধ্যক্ষ বলেন, এসব সন্তানতুল্য ছেলেদের হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়ে আমরা যেনো মরে গেছি। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন। একই সাথে তাদের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় তিনি একটি মামলা দেন । ওসি আবদুস সালাম আরো জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। মামলার পর সোমবার রাতেই আশরাফুজ্জামান তাজ ও আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান জানান, তাজ ও অন্যদের বিরদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

———0———-

সাতক্ষীরার আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের ওপর তিন দফা হামলা ও তার অফিস ভাংচুর করেছে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজসহ তার কয়েকজন সহযোগী।

এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘চাকরি করতে চাইলে আমাদের কথা শুনতে হবে’।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান আশাশুনি থানায় একটি মামলা করেন। পরে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আশাশুনি থানার ওসি আবদুস সালাম জানান, অধ্যক্ষ মামলা দেয়ার পর আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি তার কয়েকজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নিজ কক্ষে অফিসিয়াল কাজ করছিলেন। এ সময় এক যুবক এসে তাকে সালাম দিয়ে একটু রুমের বাইরে আসতে বলে।

তিনি বলেন, বাইরে আসার পরপরই তার সামনে আরেকটি ছেলেকে তারা বেদম মারধর করতে থাকে। তিনি বিষয়টি কী তা জানতে চাইলে তারা জানায়- সে সাতক্ষীরা থেকে একটি মেয়েকে এনে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে অনৈতিক আচরণ করেছে। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে মারধর না করে তার কাছে দিতে বলেন।

এ সময় অধ্যক্ষ ওই ছেলের অভিভাবকদের ফোন করে ডেকে আনেন। একই সময়ে সেখানে পুলিশও পৌঁছায়। পরে পুলিশ থানায় এনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় ছেলেটিকে।

অধ্যক্ষ জানান, ছেলেটিকে তাদের হাতে কেনো দেয়া হলো না এই কৈফিয়ত তলব করে তার ওপর হামলা করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী শাওন, আল মামুন ও সাইফুল্লাহসহ ৭/৮ জন ছাত্রলীগ ক্যাডার। এ সময় তারা ভাংচুর করে তার কক্ষ, জানালার গ্লাস, চেয়ার টেবিল। ইটপাটকেল ছুড়ে তাণ্ডব চালায় তারা।

এভাবে পরপর তিনবার হামলার শিকার হন অধ্যক্ষ। তাকে চড় কিল ঘুষি মেরে ফেলে দেয়া হয়।

তিনি জানান, সহকর্মী শিক্ষকরা হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সহকর্মীরাও কমবেশি লাঞ্ছিত হন।

এ সময় তাজ অধ্যক্ষকে বলেন, ‘এখানে চাকরি করতে হলে আমাদের কথা মতো চলতে হবে। না হলে সাইজ করে দেব’।

আক্ষেপ করে অধ্যক্ষ বলেন, এসব সন্তানতুল্য ছেলেদের হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়ে আমরা যেনো মরে গেছি।

তিনি জানান, বিষয়টি তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় তিনি একটি মামলা দেন।

ওসি আবদুস সালাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। মামলার পর সোমবার রাতেই আশরাফুজ্জামান তাজ ও আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেন, ‘তাজ ও অন্যদের বিরদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।