ক্রাইমবার্তা রির্পোট: ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির খবর পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন জয়।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার দায়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বহিষ্কারের পর সিনিয়র দুই নেতাকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য। মধুর ক্যান্টিনের সংবাদ সম্মেলনে লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।
জয় বলেন, ছাত্রলীগ কোনো অন্যায়কারী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজকে প্রশ্রয় দেবে না। কেউ চাঁদাবাজি করে ছাত্রলীগের দুর্নাম করছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই মুহূর্তে এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা মনে করি, যে চ্যালেঞ্জই আসুক, সব মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।
শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আল নাহিয়ান খান বলেন, ছাত্রলীগকে পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে। আমরা বসে সার্বিক একটা পরিকল্পনা করব, ছক আঁকব। সেই ছক অনুযায়ী বাকি যে ১০ মাস সময় আছে, আমাদের যেসব কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে বা যেসব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেগুলো বিলুপ্ত করে সুন্দর ও যুগোপযোগী ছাত্রলীগ গড়ে তুলব। কোনো ধরনের কালিমা আমাদের গায়ে যেন না লাগে, সে জন্য আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকব। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দিকনির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমরা চলব।
যথাযথভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করব। অন্য যেসব বিষয় আছে, সেগুলো আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে করব। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা দুজন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে গতকাল দায়িত্ব পেয়েছি। সামনের ১০ মাসের জন্য আমাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাল সোমবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করব। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করব।