ক্রাইমবার্তা রির্পোট: সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলের বড় ছেলে প্রভাষক জুলফিকর রহমান বুলবুল(৫৫) জানাযা নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
এর আগে মরহুমের আত্নার মাগফিরনাত কামনা করে মরহুমের আতত্নীয় স্বজন,স্থানীয় আলেম ওলামারা বক্তব্য রাখেন। জানাযায় হাজারো মাুষের ঢল নামে।
যুদ্ধাপরাধ মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকায় মরহুমের পিতা সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল জানায়ায় অংশ নিতে পারিনি। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে প্যারোলে মুক্তির বিধান থাকলেও নিজের ছেলের জানাযায় অংশ নিতে পারিনি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল। সূত্র জানাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনালের কার্যক্রম কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকায় আব্দুল খালেক মন্ডলের প্যারোলের মুক্তির বিষয়টি আইনি জটিলতায় আটকে যায়।
অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলের ছোট ছেলে প্রভাষক শামিম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদি থেকে হজ্জ্ব করে ঢাকা বিমান বন্দরে পৌছালে তার বড় ভাই জুলিফকর রহমান বুলবুল তাকে রিসিভ করতে বিমান বন্দরে যান। এর পর বড় ভাই জুলিফকর রহমান বুলবুল ঢাকস্থ তার শ্বালকের বাড়িতে অবস্থান করেন। সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে তার ভাই জুলিফকর রহমান বুলবুলের বুকে ব্যাথা অনুভব করলে প্রথমে নিকস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। অবস্থার অবন্নতি হলে তাকে ঢাকা হৃদরোগ ইন:হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে আইসিইউতে রাখা অবস্থায় শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে র্কতব্যরত তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
প্রভাষক জুলিফকর রহমান বুলবুল দাতভাঙ্গা কলেজের প্রতিষ্ঠাকালিন অধ্যক্ষ ছিলেন। সর্বশেষ তিনি আগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করতেন।
মরহুমের পিতা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি আগরদাড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।
২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর মাও. আব্দুল খালেক মন্ডলকে গ্রেফতার করেন সাতক্ষীরা পুলিশ। তার পর যুদ্ধাপরাধ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।