ক্রাইমবার্তা রির্পোট: নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণ সায়ের খাল পাড়ের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন করে আতংক তৈরি হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল উচ্ছেদ অভিযানের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় নতুন করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক এস, এম মোস্তফা কামাল সাক্ষাতকারে জানান, গত ১ আগষ্ট থেকে অভিযানের মাধ্যমে ৩ দিন তিনশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়। ঈদুল আযহার কারনে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এই অভিযান আবারও চলমান থাকবে। একটি বিষয় আমি সকলের সাছে স্পষ্ট করেছি এতে কারো কোন ধরনের ধোঁয়াশা থাকার সুযোগ নেই, যে স্থাপনা গুলো রয়েছে সেগুলো পৌরসভার রেকর্ডকৃত জায়গায়, পৌরসভা সেগুলোকে লীজ দিয়েছে, কিন্তু জলাধার আইনের কথা উল্লেখ করে ইতিমধ্যে পৌরসভাকে একাধিকবার পত্র দেয়া হয়েছে যে, এই লীজ গুলো বাতিলের জন্য। কিন্তু অদ্যাবধি পৌরসভা এই লীজ বাতিল করে নাই। ফলশ্রুতিতে আমরা এই অবৈধ স্থাপনা এগুলো উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। আমি মনে করি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে অন্য কারো লীজ কৃত জমিতে আমি যদি স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করতে যাই সেটা বে-আইনী কার্যক্রম হবে। ফলশ্রুতিতে আমরা সময় নিচ্ছি শুধু মাত্র এটি পৌরসভা যাতে লীজটি বাতিল করে। একই সাথে আমি নাগরিক সমাজকে আহবান করেছি তারা যেন এ বিষয়ে পৌরসভাকে পেসার ক্রিয়েট করে। আমি স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেছি এবং তাকে অনুরোধ করেছি পৌরসভাকে তিনি যেন একটি উপদেশ ও নির্দেশনা দেন, যাতে তারা লীজটি বাতিল করে। আমি ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় সচিব মহোদয়কে আইন শৃঙ্খলা সভার রেজুলেশন অনুযায়ী অনুরোধ করেছি উন্নয়ন সমন্বয় সভার রেজুলেশন অনুযায়ী পৌরসভাকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয় খাল পাড়ের যে সমস্ত লীজকৃত স্থাপনা রয়েছে সেগুলো বাতিল করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি যে ডেল্টা প্লান ঘোষনা করেছেন এবং জলাধারের পাশে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ কল্পে তিনি যে শূন্য সহিষ্ণুতার কথা উল্লেখ করেছে, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে আমি সেটা প্রতিপালন করব। এবং আমি এই জেলাবাসীর কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ এই খালের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ এই খালকে একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীকার সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান নতুন করে শুরু হবে এই খবরে খাল পাড়ের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতংক তৈরি হয়। এসব খবর নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী নেতারা বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপ শুরু করে। দিনভর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিন কাটিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
তবে সাতক্ষীরার বেশির ভাগ মানুষই সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের পক্ষেই মত দিয়েছেন বলে একাধিক মাধ্যম নিশ্চিত করেছে।