ক্রাইমবার্তা রির্পোট:: দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এক মৎস্যজীবীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বিপ্রতী বিশ্বাস বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনের নাম উলেখ করে এ মামলা দায়ের করেন। সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনারুল ময়না ও নিত্যজিৎ বিশ্বাস নামের দু’জনকে রোববার বিকেলে থানার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মে তারা খোদ্দ বাওড়ের একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে ১০০ জন সংখ্যালঘু জেলে সম্প্রদায়ের লোকসহ ১১৪ জন মাছ চাষের প্রস্তুতি নেন। আট লাখ টাকার মাছের পোনাসহ প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ করেন ওই বাওড়ে। স্থানীয় ইউনিয়ন অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান গাজী, মোছা. সেলিনা আনোয়ার ময়না, আমিনুর গাজী, হাসান সরদারসহ একটি মহল বাওড়ে মাছ চাষ করতে হলে তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে। টাকা না দিলে তারা মাছ চাষ করতে দেবেনা বলে জানায়। এমনকি বাওড় দখল করবে বলেও তাদেরকে হুমকি দেয়। এরই জের ধরে সমিতির সদস্য শচীন বিশ্বাসকে গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাকুড়িয়া গ্রামের ব্রাক অফিসের সামনে মাসুমের চায়ের দোকানে বসে থাকাকালিন দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা না দেওয়ায় মান্নান, জয়, রিপন, কুদ্দুস, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ময়না খাতুন, নিত্যজিৎ বিশ্বাসসহ কয়েকজন লোহার রড দিয়ে শচীনের ডান পা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। দু’হাত, পিট ও কোমর পিটিয়ে জখম করে। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনির উল গিয়াস বলেন, রোববার মামলা রেকর্ড করার পরপরই ময়না ও নিত্যজিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
Check Also
আশশুনির প্রতাপনগরে ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের কমিটি গঠন।। সভাপতি-নাসির,সেক্রেটারী-মোস্তফা মনোনীত
আশাশুনি প্রতিনিধি।। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। …